পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
মুজিবনগরে সহিংসতা নিরসন ও সম্প্রীতি স্থাপন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুজিবনগর উপজেলার গুডনেইবার বাংলাদেশ কার্যালয়ের হলরুমে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের এমআইপিএস প্রকল্প, এফসিডিও’র আর্থিক সহায়তায়“ সহিংসতা নিরসন ও সম্প্রীতি স্থাপন” শীর্ষক ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শিক্ষক মোঃ নজির উদ্দীন-এর সভাপতিত্বে এবং পিএফজি সমন্বয়কারী মোঃ ওয়াজেদ আলী খান-এর সঞ্চালনা প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোঃ খোরশেদ আলম এবং এলাকা সমন্বয়কারী এস.এম. রাজু জবেদ।
বক্তারা তাদের আলোচনায় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে একযোগে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তারা বলেন, সামাজিক সম্প্রীতি, সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধই একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের মূল চাবিকাঠি। পারিবারিক শিক্ষার প্রসার, যুব সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের মানবিক নেতৃত্ব সহিংসতা কমিয়ে সম্প্রীতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারে বলে মত দেন বক্তারা।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সমন্বয়কারি মোঃ ওয়াজেদ আলি খাঁন, শিক্ষক মোঃ নজির উদ্দীন, ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর তনময় মন্ডল, বিএনপি নেতা সুজন আলি খান, মাহফুজ আহম্মেদ, খ্রিষ্টান ধর্মযাজক গাব্রিয়াল মন্ডল, নারী প্রতিনিধি নিলুফা খাতুন, ইমাম মোস্তাফিজুর রহমান হৃদয়, পুরোহিত পবিত্র কুমার এবং পিস অ্যাম্বাসেডর মুন্সি মোকাদ্দাস। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক, ধর্মীয়, নৃগোষ্ঠিগত ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে সমাজ থেকে বিভেদ, অহংকার ও বিদ্বেষ দূর করে পারস্পরিক সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও সম্মান বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সভায় দাশ ও মুচি সম্প্রদায়, মুসলিম, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের দুটি গ্রুপ যারা সাধারণত একে অপরের প্রোগ্রামে অংশ নেন না খতারা সবাই একত্রিত হয়ে সম্প্রীতির এক মিলনমেলায় পরিণত করেন অনুষ্ঠানস্থলকে। সভাটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ আশরাফুজ্জামান।