মো: আবুবকর সিদ্দিক, স্টাফ রিপোর্টার, সাটুরিয়া মানিকগঞ্জ, দৈনিক সারা দুনিয়া।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নে বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্হানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানায় গোপালপুর এলাকার মোঃ বিপ্লব হোসেনের ছেলে রাহাতুল ইসলাম হৃদয় কে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেয় তিল্লী ইউনিয়নের আকাশি গ্রামের আব্দুল কাদের, বরাইদ ৯ নং ওয়ার্ড বি,এন,পির সভাপতি নাছির উদ্দিন। আব্দুল কাদের ও নাছিরের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর একাধিক অভিযোগ আছে। তারা দুই জনে গুরু ভাই বিভিন্ন সময়ে বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
বিষয় টি ভুক্তভোগী জানতে পারলে হৃদয়ের পরিবার পাওনা টাকা ফেরত চায় । প্রতারকরা পাওনা টাকা না দিয়ে নিজেদের বাঁচাতে ভুক্তভোগী ও টাকা দেওয়ার সময় সাক্ষীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করেন।
বর্তমানে মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া দিন আছে।
ভুক্তভোগী রত্না জানান আমার স্বামী অসুস্থ তার চিকিৎসা টাকা যোগাড় করতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।এমন সময় আমার ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে কাদের ও নাছির, শিল্পী আত্মসাৎ করেছে। আমি নিরুপাই হয়ে সাটুরিয়া থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, পাওনা টাকা ফেরত, মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার, প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বুধবার সকালে গোপালপুর বাজারে মানববন্ধনের আয়োজন করেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার।
এ সময় প্রশাসনের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল কাদের জানান আমি হৃদয় কে বাংলাদেশ রেলওয়েতে অস্থায়ীভাবে চাকরি দিয়েছিলাম। কিন্তু তা না করে সে পালিয়ে এসেছে।
বরাইদ ৯ নং ওয়ার্ড বি,এন,পির সভাপতি নাছির উদ্দিন জানান হৃদয়ের পরিবার কাছ থেকে আমি ১ লক্ষ টাকা নিয়ে কাদেরের মাধ্যমে ব্যাংকের জমা দিয়েছি আমি মূর্খ মানুষ কোন নাম্বারে দিয়েছি তা আমার জানা নেই। নিয়োগ পত্র জাল কিনা তা আমি নিজেও জানিনা। যদি জাল হয় তাহলে তাদের বিচার দাবি করছি।
সাটুরিয়া থানার বি,এন,পির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস খান মজলিস মাখন জানান বি,এন,পির দল একটি শান্তির দল। দলের ভাঙ্গিয়ে কেহ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে। প্রমান পেলে প্রয়োজনে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ
পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।