পরেশ দেবনাথ, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
“সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’
প্রতিপাদ্যের আলোকে বাঘারপাড়ায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি-২৫) বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের এমআইপিএস প্রকল্পের বাঘারপাড়া উপজেলার পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি)-এর উদ্যোগে ওই আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে পিস এ্যাম্বাসেডর বীর প্রতিক ইসহাক কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তাক মোর্শেদ-এর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর সমন্বয়কারী মোঃ ইকরামুল কবির মিঠু-এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শোভন সরকার।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ধর্ম বর্ণ দল মত নির্বিশেষে সকলে মিলে মিশে একতাবদ্ধ হয়ে থাকলে যেকোন কার্যক্রমে সফলতা অর্জন করা যায় এবং সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দুর করে সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব হয়। এরপর বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলিম বলেন, প্রতিটি ধর্মের মানুষের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে ভুমিকা পালন করলে কোনভাবে সমাজে বিশৃঙ্খলা হওয়া সম্ভব নয়। আজকের আন্ত:ধর্মীয় এই সংলাপের মাধ্যমে সকলকে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ জানান যে, সার্বজনিন অসাম্প্রদায়িক বাঘারপাড়া তথা সমগ্র বাংলাদেশ গড়ার জন্য অঙ্গিকার করতে হবে।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ও এমআইপিএস প্রকল্পের মূল বক্তব্য প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন এমআইপিএস প্রকল্পের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর ড. নাজমুন নাহার নুর লুবনা ও যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারি জনাব খোরশেদ আলম এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন এমআইপিএস প্রকল্পের ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর জনাব মোঃ আশরাফুজ্জামান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য উপস্থাপন করেন, পিস এ্যাম্বাসেডর অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তাক মোর্শেদ, ইসলামিক শাসনতন্ত্র আন্দলনের জনাব মোঃ নাজমুল হুদা, খতিব ও ইমাম জনাব মুফতী সাইয়েদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জনাব মাসুদুল আলম টিপু, আদিবাসি সেক্রেটারি প্রহল্লাদ কুমার মন্ডল, রেভা: উত্তম কুমার মন্ডল, পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রনয় সরকার, পুরোহিত রতন আচার্য, হরিনাথ বিশ্বাস, বিকাশ দাশ প্রমুখ। এছাড়া আন্ত:ধর্মীয় সংলাপে পিএফজি সদস্যবৃন্দ, সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতাবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বনৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে বক্তারা বলেন, সকল ধর্মে শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য মানবিক আচরণ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শান্তির লক্ষ্যে উদার, সহিষ্ণু, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও মুক্ত মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। জাতিগত বা ধর্মীয় উগ্রপন্থা পরিহার করে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টির মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশে ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।