কেশবপুরে পিঠা উৎসবের স্টল পরিদর্শন করেন সাবেক চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মুকুল।

স্টাফ রিপোর্টার
0

 


পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, য়শোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।


কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নে পিঠা উৎসবের স্টল পরিদর্শন করেন, বিএনপি'র সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মোঃ মকবুল হোসেন মুকুল। এসময় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে দুইদিন ব্যাপী পিঠা উৎসব গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর-২৪) শেষ হয়েছে। শীতকালে সাধারনত এই উৎসবটি আরম্ভ হয়ে থাকে।  

   প্রতি বছরের মতো পাঁজিয়াতে এবার জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অধিকাংশ পিঠামোদিদের ইচ্ছা অনুষ্ঠানটি ৫ থেকে ৭ দিন হলে ভাল হয়। বাঙালির সখের খাবার হলো পিঠা। এদেশে এমন মানুষ কমই আছে যারা পিঠা পছন্দ করেন না। বাঙালির এই পিঠার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে কেশবপুরসহ বিভিন্ন এলাকার এই মুখরোচক পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। যশোরের কেশবপুরের যশ খেজুরের রসে ভিজানো পিঠাসহ পাঁজিয়া ইউনিয়নে নানান পদের মুখরোচক পিঠা-পুলি নিয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পাঁজিয়া দেশ সংগীত বিদ্যালয়ের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আয় সখী পিঠা ঘরে যায়" বন্ধু মহল পিঠা উৎসব" স্টল-সহ ৭টি স্টলে প্রায় ৫০ প্রকারের পিঠা নিয়ে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই এলাকার শিক্ষার্থীরা-সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পিঠা উৎসবকে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। সব মিলিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এই পিঠা উৎসবটি পাঁজিয়া ইউনিয়নে পিঠামোদিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

পিঠা উৎসবে খেজুরের রসে ভিজানো পিঠাসহ ভাঁপা পিঠা, কুলি পিঠা, চিকন পিঠা, লাভ পিঠা, কলমি ফুল, গোলাপ পিঠা, ঝাল পোয়া, মিষ্টি ফুল, সূর্যমুখী, ঝিনুক, জবা, ইলিশ, নকশি, মিষ্টি কুমড়া, পাতা পিঠাসহ প্রায় ৫০ রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন ইউনিয়নের শিক্ষার্থ, গৃহবধূরাসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ভিড় করছেন।

পিঠা উৎসব দেখতে আসা সুমি খাতুন বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। এ ধরনের পিঠা উৎসবের আয়োজন প্রতিনিয়ত করা উচিত। তবেই আমরা বাঙ্গালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবো।

এলাকাবাসী এই আয়োজনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, এই ধরনের আয়োজন খুব প্রয়োজন। বিশেষ করে বাড়িতে বাড়িতে পিঠা তৈরি হয়, কিংবা রাস্তার মোড়ে ভাঁপা পিঠা তৈরি করা হয়। কিন্তু একযোগে ঐতিহ্য তুলে ধরার কাজটি কম হয়। এই আয়োজন যেন নিয়মিত হয় এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন আয়োজনে আগত অতিথিরা।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)