পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর , দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরের বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের হাড়িয়াঘোপে আত্মনিবেদিত পূণ্যার্থী বলাই দেবনাথের আয়োজনে তার স্বর্গীয় পিতা উপেন্দ্র দেবনাথ-স্বর্গীয় মাতা অঞ্জু দেবনাথ- স্বরণিকা জীবনমগ্ন আলোচনা, কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক নিবেদন ও গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়। উদ্ধোধনী ঘোষক ছিলেন, বিশিষ্ট সাহিত্য সংগঠক ডা. কাদেরুজ্জামান, অতিথিবৃন্দের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন, বলাই দেবনাথের সহধর্মিণী কানন বালা দেবী ও স্বর্গীয় পিতা-মাতার উদ্দেশ্যে অনুভূতি প্রকাশ করেন, বলাই দেবনাথ।
শণিবার (১৪ ডিসেম্বর-) সারা দিনব্যাপী হাড়িয়াঘোপ সার্বজনীন কালী পূজা মন্দির প্রাঙ্গনে শিরাশুনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক হরিপদ মজুমদার-এর সভাপতিত্বে এবং হাড়িয়াঘোপ আলোরপথে সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের নির্বাহী পরিচালক বলাই দেবনাথ-এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে জ্ঞানগভীর আলোচনা ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন, প্রফেসর ড. সন্দীপক মল্লিক, বাংলা বিভাগ, ফার-ইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, এ,এইচ,এম, জুলফিকার আলী, তথ্য অফিসার তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা, ৭১-মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও ইতিহাস লেখক বাংলাদেশ বেতার শিল্পী আমজাদ হোসেন (দাদা ভাই), বাংলাদেশ বেতারের শিল্পী চারন কবি বাবুল আহম্মেদ, ঝিকরগাছা রঘুনাথনগর কলেজের অধ্যাপক হোসাইন নজরুল হক, ভান্ডারখোলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (অবসর প্রাপ্ত) নূরুল ইসলাম, চুকনগর ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক গোপাল কৃষ্ণ সরকার।
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা এবং কবিতা পাঠ করেন, হাড়িয়াঘোপ পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু দীপংকর বিশ্বাস, প্রতাপপুর নেভারাণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নবকৃষ্ণ দাস, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আলোর পথে সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি ডাঃ মকবুল হোসেন, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও চারুপীঠ একাডেমির প্রশিক্ষক মলয় বিশ্বাস, সঙ্গীত পরিবেশন করেন, লোকজ একাডেমির পরিচালক, বাংলাদেশ বেতার খুলনার কণ্ঠশিল্পী ও বিশিষ্ট গীতি কবি এস এম সিরাজুল ইসলাম ও সহযোগিবৃন্দ, কবি ও লেখক বিশ্বজিৎ ঘোষ, পিবিএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিন কুমার মজুমদার, রংপুর কালীতলা জ্যোতী আলোচনা চক্রের সভাপতি প্রভাষক জ্যোতী বিশ্বাস, কবি ও ভ্যানচালক ইন্দ্র বিশ্বাস, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র সরকার, ভাণ্ডারখোলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রনব দাস, আলাদিপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মজিদ, রামযাত্রা শিল্পী দেবুল চন্দ্র দাস, কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন, স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি রামপদ ঘোষ, কবি কার্তিক চন্দ্র সরকার, গীতিকার ইবাদুল ইসলাম, কবি ও নাট্যকার নিখিল দত্ত, শিশু কবি দীপ দেবনাথ, শিশু কবি শেখর রায়, শিশু কবি চিত্রা মজুমদার, শুকলাল বৈরাগী, ভগিরথ রায়, পল্লী চিকিৎসক আব্দুল গফ্ফারসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত শতাধিক কবি।
আলোচনা, কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক নিবেদন ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্টানে ২৫ গুণীজনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে কবি ও লেখক বিশ্বজিৎ ঘোষ সম্পাদিত কমলরেখা সাহিত্য পত্র গুণীজনদের হাতে তুলে দেন।