পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর , দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরের মঙ্গলকোট, বিদ্যানন্দকাটি, মজিদপুর, পাঁজিয়া, কেশবপুর, গৌরীঘোনা, সুফলাকাটি, সাগরদাঁড়িসহ বিবিন্ন ইউনিয়নে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব শ্রীশ্রী শ্যামাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বসুন্তিয়া বাঁশতলা সার্বজনীন কালীপূজা মন্দির, বসুন্তিয়া তারকেশ্বর সার্বজনীন পূজা মন্দির, পাথরা সার্বজনীন পূজা মন্দির, বুরুলী সার্বজনীন পূজা মন্দির, বিদ্যানন্দকাটি বটতলা সার্বজনীন কালী মন্দির, হড়িয়াঘোপ কালীতলা পূজা মন্দির, পাঁজিয়া বোসপাড়া চণ্ডীমণ্ডপ, পাঁজিয়া সার্বজনীন দূর্গামন্দির, কেশবপুর কালীবাড়ি পূজামন্দির, কেশবপুর স্বর্ণপট্টির সেনবাড়ি, কেশবপুর (বোস বাড়ির) পূজা মন্দিরসহকেশবপুর (বোস বাড়ির) পূজা মন্দিরসহ কেশবপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নের মন্দিরে ও পারিবারিকভাবে শ্রীশ্রী শ্যামাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদের কালীপূজা বা শ্যামাপূজাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর-২৪) রাত ১২ টার পর থেকে আরম্ভ হয়ে পরদিন শুক্রবার সকালে প্রসাদ বিতরণের মধ্যদিয়ে পূজার কার্যক্রম শেষ করা হয়। শুক্রবার বিকাল বেলা থেকে নানামুখী কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত শেষ হয়েছে এ উৎসব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চতুদর্শী তিথিতে ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়েছে। শ্যামা পূজার আগে উদযাপন করা হয় দিপাবলী। এটি সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীদের ধর্মীয় উৎসব হলেও এর আলোকের পুণ্যশিখার ব্যাপ্তি শুধু মাত্র তাদের ঘরেই আটকে থাকে না। আলোকোৎসবের ছটায় প্রত্যেক মানব হৃদয় মেতে ওঠে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মধ্য দিয়ে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে কার্তিক মাসের অমাবশ্যা তিথিতে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামার। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে শ্যামা বা কালী পূজার মূল বার্তা ও মাহাত্ব।
শুক্রবার সকালে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে। বিকাল থেকে সিঁদুর খেলা, আরতি, খেলাধূলা, নাচ, গান, প্রতিমা বিসর্জন ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ভক্তরা আনন্দ উপভোগ করেন। অধিকাংশ স্থানে অনুষ্ঠান শেষে খিচুড়ি ভাতের আয়োজন করা হয়। পূজা মণ্ডপ চত্বরে শ্রী শ্রী শ্যামা মায়ের পূজায় স্থানীয় শিল্পীদের মাধ্যমে ওই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া বাঁশতলা সার্বজনীন কালী মন্দির কমিটির সভাপতি সমিত কুমার রায়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বিধান চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মুস্তাক আহমেদ, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক পরেশ দেবনাথ প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউছুপ ঢালী, ইউনুস মোড়ল, মাসূদুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, ইউনুস ঢালী, আলাউদ্দীন সরদার, সাইফুল মহলদার, বাবলুর রহমান, টিপু মোড়ল, শামীম মোল্যা প্রমূখ। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ভক্তবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।