পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
“সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি' প্রতিপাদ্যের আলোকে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলাতে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর-২০২৪) তারিখে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাকক্ষে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের এমআইপিএস প্রকল্পের কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর উদ্যোগে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় উপজেলা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর পিস এ্যাম্বাসেডর জনাব আব্দুল মান্নান বাদশা এর সঞ্চালনায় এবং কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মোহা. শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব পার্থ প্রতিম শীল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি ধর্মের মানুষের দায়িত্ববোধের যায়গা থেকে ভুমিকা পালন করলে কোনভাবে সমাজে বিশৃঙ্খলা হওয়া সম্ভব নয়। আজকের আন্ত:ধর্মীয় এই সংলাপের মাধ্যমে সকলকে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ জানান যে, সার্বজনিন অসাম্প্রদায়িক কুষ্টিয়া তথা সমগ্র বাংলাদেশ গড়ার জন্য অঙ্গিকার করতে হবে। মূল বক্তব্য ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমআইপিএস প্রকল্পের এরিয়া কোঅর্ডিনেটর জনাব এস. এম রাজু জবেদ এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন এমআইপিএস প্রকল্পের ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর জনাব মোঃ আশরাফুজ্জামান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য উপস্থাপন করেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল ইসলাম. এসিল্যান্ড মোঃ রিফাতুল ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার জনাব মোহাম্মদ আলি, মহিলা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার জনাব ফেরদৌস নাজনীন, ইমাম ও পিএফজি সদস্য মোঃ শরিফুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র নাথ সেন, সভাপতি রতন লাল মৈত্র, কুতওয়াতুল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ তরিকুর রহমান, ধর্মিয় নেতা ইব্রাহিম খলিল, সভাপতি কার্তিক কুমার বিশ্বাস, ইসলামিয়া কলেজের অধ্যাপক সাদিয়া ফারজানা মহুয়া, পারভীন আক্তার লাভলী, বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারি জনাব মিরাজুল ইসলাম রেন্টু, পিএফজি সদস্য এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের জেলা সভাপতি জনাব অধ্যাপক আবুহেনা মুহা. গোলাম রসুল বাবলু প্রমুখ। এছাড়া আন্ত:ধর্মীয় সংলাপে ধর্মীয় নেতা, সাংবাদিক, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে বক্তারা বলেন, সকল ধর্মে শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য মানবিক আচরণ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শান্তির লক্ষ্যে উদার, সহিষ্ণু, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও মুক্ত মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। জাতিগত বা ধর্মীয় উগ্রপন্থা পরিহার করে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টির মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশে ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।