পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পরে নাম ফিরে পেলো শহীদ জিয়া ছাত্রাবাস। বিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ সিদ্ধ্যান্ত নিয়ে রোববার ছাত্রাবাসের মুছে দেয়া নাম পুনরায় লিখেন। এসময় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দূর দুরান্ত থেকে আসা দরিদ্র মেধাবী ছাত্ররা ওই ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করতেন। নাম ফলক বিহীন ওই ছাত্রাবাসে দীর্ঘদিন ধরে এতিম শিশুরা বসবাস করছে।
প্রসঙ্গত, তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি ২০০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে একটি ছাত্রাবাস করার সিদ্ধান্ত নেয়। যার নাম দেন শহীদ জিয়া ছাত্রাবাস। ঐ কমিটির সভাপতি ছিলেন, বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালে এই ছাত্রাবাসের নেমপ্লেট তুলে ফেলা হয় এবং উদ্বোধক ফলক ভেঙ্গে ফেলা হয়। ওই সময় সভাপতি ছিলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক হুইপ আব্দুল ওহাব। তৎকালীন সভাপতি এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত ম্যানেজিং কমিটিতে না নিলেও ওই সময়কার প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষ নিজস্ব দাপট দেখিয়ে শহীদ জিয়া ছাত্রাবাসের নেমপ্লেট তুলে ফেলে এবং উদ্বোধক ফলক ভেঙ্গে দেয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক আহম্মেদ বলেন, ২০১২ সালে ১৯ শে মার্চ পাইলট স্কুলে আমার নিয়োগ হওয়ার পরে আমি ছাত্রাবাসে টিনের সাইনবোর্ড টাঙ্গানো দেখেছি কিন্তু মাস খানেক পর হুট করে একদিন দেখলাম সাইনবোর্ড নাই। তখন আমাদের বহিস্কৃত পিয়ন আমজেদ-২ এর কাছে জানতে চাইলে বল্লো, স্যার আমিও চার/পাঁচ দিন ধরে দেখছি না। কারা নামিয়েছে এটা সবাই জানে কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানে অধিকাংশ সবাই লেভেল দিয়ে চলে সে কারণে কেউ কোন কথা বলেনি ঐ সময়। তদন্ত করলে সব বের হয়ে আসবে। ঐ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান সাহেব।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান অধ্যক্ষ আছাদুজ্জামান বলেন, আমি যোগদানের পর ওই ছাত্রাবাসের নাম ফলক দেখিনি। রেজুলেশনে নাম থাকায় সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ ভাই ছাত্রাবাসের নাম পুনরায় লেখার পরামর্শ দেন। আজাদ ভাইয়ের পরামর্শে রোববার ছাত্রাবাসের নাম পুনরায় লেখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ বলেন, অন্যায়ভাবে গায়ের জোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে ছাত্রাবাসের নামফলক মুছে ফেলা হয়েছিলো যেটা শোভনীয় হয়নি। যারা করেছেন তাদের প্রতি ঘৃনা জানাই ।