নিজস্ব প্রতিবেদক,সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ), দৈনিক সারা দুনিয়া।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীসহ ৩ জনের শরীরে পেট্রোল দিয়ে স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী ও শ্যালকের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হাসান আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দগ্ধ শারমিন ও তার চাচাতো ভাই রুবেলের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
নিহত শারমিনের বড় বোনের স্বামী মিজানুর রহমান দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দাম্পত্য কলহের জেরে সাটুরিয়ার গওলা গ্রামে শারমিনের প্রতিবেশী চাচা মো: রফিকুল ইসলাম এর ঘরের ভিতর শারমিনের শরীরে পেট্রোল ঢালিয়া আগুন ধরাইয়া হত্যার চেষ্টা করে তার স্বামী ধামরাইয়ের রাজাপুর গ্রামের হাসান আলী। শারমিনের ডাক চিৎকারে তার চাচাতো ভাই মো: রুবেল (২৮) ও চাচী সেলিনা আক্তার (৪৫) এগিয়ে আসলে হাসান তাহাদের উপরও পেট্রোল দিয়া আগুন ধরাইয়া হত্যার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে আশপাশ হইতে লোকজন ঘটনাস্থলে এসে শারমিন, রুবেল ও সেলিনা আক্তারকে রক্ষা করে এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল ও কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও রুবেল এবং সেলিনা আক্তারকে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করে। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে দগ্ধ শারমিন ও তার চাচাতো ভাই রুবেলের মৃত্যু হয়েছে। আর চাচী সেলিনা আক্তারের অবস্থাও গুরুতর।
সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দগ্ধ শারমিন ও তার চাচাতো ভাই রুবেল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শারমিনের বড় ভাই শামিম বাদী হয়ে গত রবিবার সাটুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। আর নিহতের স্বামী অভিযুক্ত হাসানকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমেদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে।