পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর , দৈনিক সারা দুনিয়া।
সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে, সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে; বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত'র জন্মস্থান যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদ ঘেষা সাগরদাঁড়ীতে। নদ পাড়ে ছিলো কবির স্মৃতি প্রায় আড়াই'শ বছরের কাঠ বাদাম গাছ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর-২৪) প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় বয়োবৃদ্ধ ওই কাঠ বাদাম গাছটি নদ পাড়ের সড়কের উপর উপড়ে পড়েছে। কবির জন্ম ভিটা দর্শনে প্রতিদিন অসংখ্য শিশু নারী পুরুষ সাগরদাঁড়ীতে আসেন।
সাগরদাঁড়ির ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার শাহাজাহান আলী বলেন, মধুসূদনের স্মৃতি বিজড়িত গাছটি পড়ে যাওয়ার পর থেকে এলাকার মানুষ দেখতে ভিড় করছেন। মধুসুদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত কাঠবাদাম গাছটি রক্ষার জন্য এলাকার মানুষ দাবি জানিয়েছেন।সাগরদাঁড়ি মধুপল্লীর কাস্টডিয়ান হাসানুজ্জামান বলেন, রোববার মুষলধারে বৃষ্টির ভেতর ঝড় শুরু হলে কাঠবাদাম গাছটি উপড়ে পড়ে যায়। প্রতিবছর সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মধুমেলায় আসা পর্যটকরা ওই গাছটির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলাসহ মহাকবিকে স্মরণ করতেন। কালের সাক্ষী হয়ে কবির স্মৃতি ধারণ করে আসছিল ওই কাঠবাদাম গাছটি। কবি বাড়ি দর্শণ শেষে একবারের জন্য হলেও দর্শণার্থীরা কাঠ বাদাম গাছ তলায় বসতেন।