কেশবপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

স্টাফ রিপোর্টার
0

 


পরেশ দেবনাথ, যশোর জেলা প্রতিনিধি , দৈনিক সারা দুনিয়া।


দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈশম্য মুক্ত বাংলাদেশ, স্বস্তিতে বাঁচতে চাই, বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলার বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ও বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হিন্দু মা-বোন, ভাইদের নির্যাতন, হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে সংখ্যালঘু সংরক্ষণ অধিকার কেশবপুর কমিটির আয়োজনে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেশবপুর ত্রিমোহীনী মোড়ে রাস্তার উপর ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সমাবেশে হাজার-হাজার নারী- পুরুষ অংশ নেন। এসময় আট দফা দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, সংখ্যালঘু অধিকার সংরক্ষণ কেশবপুরের সমন্নয়ক তাপস পাল, গৌরব অধিকারী, যুবরাজ অধিকারী, শিবাজী বসু, চিরঞ্জিত, দিপু দাস, অভিজিৎ সিংহ, সুজিত দাস, সুমন মজুমদার, বিপ্র সাহা, কৃষ্ণ ঘোষ, রিতম দে, সৌরভ দাস, অয়ন দাস, শ্রাবন্তী দাস, বিশাল সেন প্রমূখ। 

আট দফা দাবীগুলো হলো, ১। গত কয়েকদিনে দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর ভাঙচুর, লুটপাট নির্যাতনের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা এবং নিরীহ সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান। ২। সীমান্ত সংলগ্ন যেসব অঞ্চলের মানুষের ঘরবাড়ি ছেড়ে সীমান্তে চলে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাদের উপযুক্ত নিরাপত্তা ও সম্মানের সহিত নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনা। প্রয়োজনবোধে সরকারি উদ্যোগে তাদের গৃহ নির্মাণ ও পূনর্বাসন করা। ৩। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে পূর্ণাঙ্গ রূপে হিন্দু ফাউন্ডেশন হিসেবে নিবন্ধন এবং তার সামগ্রিক কর্মপরিসর ও অর্থবরাদ্দ বৃদ্ধি করে, কোনো প্রকার দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ব্যক্তি ব্যতীত নিরপেক্ষ ও সনাতনীদের প্রকৃত শুভচিন্তক ব্যক্তিদের দ্বারা পুনর্গঠন। ৪। সরকারের সকল পর্যায়ে সংখ্যালঘুদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। ৫। " বিদ্যমান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ন্যায় পৃথক, স্বতন্ত্র "জাতীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন" গঠন, যা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতনের ঘটনাগুলো নথিবদ্ধ করে আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তাপূর্বক ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সাহায্য করবে। ৬। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান এবং আক্রমণের ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ। পরিস্থিতি পূর্ণরূপে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে এই ব্যাপারে দায়িত্ব প্রদান। ৭। বিশেষ "সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন" প্রণয়নের মাধ্যমে বিশেষ গুরুত্বের সাথে সংখ্যালঘুদের মন্দির, ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাটের দ্রুততম সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ। ৮। সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব নির্বিঘ্নে যথাবিধি পালন হওয়ার ব্যাপারে উপযুক্ত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান।


Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)