মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত‍্যুবার্ষিকী, দুই বাংলার মিলনমেলায় পরিণত।

স্টাফ রিপোর্টার
0

পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।


সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫১ তম  মৃত‍্যুবার্ষিকী যেন দুই বাংলার মিলনমেলায় পরিণত হলো। সুদূর ভারত থেকে কবি, সাহিত্যিক, লেখকরা এসেছেন নাড়িরটানে তাঁর মৃত‍্যুবার্ষিকী উৎযাপন করতে।

শণিবার (২৯ জুন-২৪) মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে 'বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি', কেশবপুর উপজেলা শাখার পৃষ্ঠপোষকতায় মধুসূদন স্মারক সংস্থা 'মধুসূদন একাডেমি'-এর উদ্যোগে যশোর-সাগরদাঁড়ীর মধুসূদন একাডেমি মিউজিয়ামে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত 'মধুসূদনের মৃত্যুবার্ষিকী' অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শুরুর আগে যশোর-সাগরদাঁড়ীর মধুসূদন একাডেমি মিউজিয়ামে দুপুর ১২টায় মহাকবি মাইকেল মধুসূদনের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন। একই সাথে সাগরদাঁড়ি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল হাসান নাঈমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে, মধুসূদন একাডেমীর চেয়ারম্যান কবি কাসেদুজ্জামান সেলিম-এর সভাপতিত্বে এবং শিশু একাডেমীর সংঙ্গীত বিভাগের প্রশিক্ষক উজ্জ্বল ব্যানার্জী ও পাঁজিয়া আবহমান-এর পরিচালক রিয়াজ লিটনের সঞ্চালনায় সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মধুসূদন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মধুসূদন গবেষক কবি খসরু পারভেজ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন। 

বক্তব্য রাখেন, মধুসূদন একাডেমি কতৃক পুরষ্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট গবেষক, লেখক, ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ রাহেল রাজিব, মুখ্য আলোচক ছিলেন, বিশিষ্ট গবেষক ও কলকাতা রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন মিদ্দে। আলোচনা করেন, সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, মধুসূদন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মধুসুদন গবেষক কবি খসরু পারভেজ, সিঙ্গিয়া আদর্শ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও বিশিষ্ট গবেষক সৈয়দ এমদাদুল হক, বিশিষ্ট কবি, ম্যানগ্রোভ সম্পাদক স. ম তুহিন, রঘুনাথনগর ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক কবি হোসাইন নজরুল হক প্রমূখ।  

আলোচনা অনুষ্ঠানের মাঝখানে বিশিষ্ট গবেষক, লেখক, ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ রাহেল রাজিবের হাতে মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার স্বরূপ ক্রেস্ট, সম্মাননা পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন, আজকের অনুষ্ঠানের সম্মানিত প্রধান অতিথি মোঃ তুহিন হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কেশবপুর, যশোর এবং মধুসুদন একাডেমির চেয়ারম্যান কবি কাসেদুজ্জামান সেলিম। পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করেন, ড. রাহেল রাজিব। পুরস্কার প্রাপ্ত গুণীজনের পরিচিতি পাঠ করছেন কবি মকবুল মাহফুজ। মধুসূদনের প্রতি সঙ্গিতাঞ্জলী নিবেদন করেন, উজ্জ্বল ব্যানার্জী, বঙ্গভূমির প্রতি কবিতায় সুরারোপিত সংগীত সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন, মধুসুদন একাডেমির শিল্পী বৃন্দ, মঞ্জুবন্দনা-সুর ও শিল্পী কুমার ইন্দ্রজিৎ, মধুসুদনের কবিতায় সুরারোপিত গান পরিবেশন করেন, শিল্পী: মোয়াজ্জেম হোসেন স্বপন, মহাকবির অমর সৃষ্টি মেঘনাদবধ কাব্য থেকে আবৃত্তি করেন মনোরঞ্জন দাস। অবশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি মধুসুদন একাডেমির সম্মানীত চেয়ারম্যান কবি কাসেদুজ্জামান সেলিম অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। 

মধ্যাহ্ন ভোজন শেষে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন, সাগরদাঁড়ী আবু শারাফ সাদেক কারিগরি ও বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক কানাইলাল ভট্টাচার্য, আরও ছিল-মধুসূদন আলোচনা, মধুসূদন একাডেমী পুরস্কার ২০২৩, ড. সুকুমার রায় স্মৃতি বৃত্তি প্রদান, মধুসূদন থেকে আবৃত্তি, নিবেদিত কবিতা পাঠ ও মধুগীতি পরিবেশন, ভারত থেকে প্রকাশিত "পিলজুস" পত্রিকার মধুসূদন সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন। এছাড়াও দুই বাংলার কবি, সাহিত্যিক, গবেষক, লেখক, মধুভক্ত, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি সুধীসমাজ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ভারত থেকে এসেছিলেন সমীর দে রায় ও

গৌতম চৌধুরী। অনুষ্ঠানের বক্তারা মধু পল্লী উন্নয়নের দাবী জানালে প্রধান অতিথি আশ্বাস দেন।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)