পরেশ দেবনাথ, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি , দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের আয়োজনে রোববার (১২ মে) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালি শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুপালী রানী-এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার পুলোক কুমার সিকদার, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এস এম মাসেদুর রহমান, কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কিরণময় সরকার, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ, কপোতাক্ষ মহিলা ও যুব উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক সুফিয়া পারভীন শিখা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মা-পৃথিবীর মধুরতম ডাক। ছোট্ট এই শব্দের অতলে লুকানো রয়েছে গভীর স্নেহ, মায়া-মমতা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা। জন্মদাত্রী মা, যার কল্যাণে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা হয় সন্তানের। জন্ম থেকে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মমতাময়ী মায়ের আঁচল হলো সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। সেই মায়ের স্মরণে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্ব মা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
যদিও মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর কোন দিনক্ষণ ঠিক করে হয়না, প্রত্যেক মায়ের প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা প্রাপ্য। তবুও আজ মাকে গভীর মমতায় স্মরণ করার দিন। আসলেই মায়ের সঙ্গে সন্তানের আত্মিক বন্ধন জন্ম-জন্মান্তরের। সেজন্য পৃথিবীর সকল মা ও সন্তানের মধ্যে নিবিড় ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় হোক। তারই পাশাপাশি কোন মমতাময়ী মা যেন সন্তান দ্বারা নির্যাতনের শিকার না হয়। মায়ের প্রতি আরো বেশি শ্রদ্ধাশীল, যন্তশীল ও সহানুভূতিশীল হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমবায় অফিসার নাসিমা খাতুন, সাংবাদিক তাহমিনা খাতুনসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নারী উন্নয়ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ।