পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া গ্রামের যাকজমকপূর্ণ পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী বসুন্তিয়া তারকেশ্বর পূজা মন্দিরে রোববার (১৪ এপ্রিল) থেকে পাঁচ দিন ব্যাপী শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দর্পন বিসর্জ্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ছিল মহাষ্টমী। পূজা শেষে বিভিন্ন ভক্তরা আরতিতে অংশগ্রহণ করেন। মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিশ্বনাথ হালদার ও সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশুতোষ হালদার আরতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরতি শেষে ভক্তি মূলক গানের অনুষ্ঠান। আরও উপস্থিত ছিলেন, ৫ নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লা-নুর-আল আহসান বাচ্চু। তিনি কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন বিধায় ১৫ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন এবং ইউনিয়নের ছেলে হিসাবে উপস্থিত সকলের কাছে দোয়া এবং ভোট প্রার্থনা করেন। আব্দুল্লা-নুর-আল আহসান বাচ্চু বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হালিম এঁর ছেলে। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, কেশবপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আব্দুল গফুর গফ্ফার, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ও মঙ্গলকোট বাসস্ট্যান্ড বাজার কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক আবুল হোসেন বিশ্বাস-সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলকোট এলাকার ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম পূজা উদযাপন কমিটির সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন। ঐতিহ্যবাহী বসুন্তিয়া তারকেশ্বর পূজা মন্দিরে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা ৭৪ তম বছর অতিক্রান্ত করলো। বহু দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ এখানে পূজা দেখতে আসেন।
পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি মাস্টার সুজিত কুমার সরকার জানান, পঞ্জিকায় লেখক, গণক, চণ্ডী পাঠক ও গবেষক প্রয়াত তারকনাথ ভট্টাচার্যের নামানুসারে বাংলা ১৩৫৫ সালে এই মন্দিরটি স্থাপন করা হয়। সে অবধি এখানে চলে আসছে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজাসহ আরও অনেক পূজা। লেখক, গণক, চণ্ডী পাঠক ও গবেষক হিসাবে তারকেশ্বর ভট্টাচার্যের নাম পঞ্জিকায় লিপিবদ্ধ ছিল।