পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরের ৯ নং গৌরীঘোনা ইউনিয়নের চুকনগর সংলগ্ন সন্যাসগাছায় আমেনা শাহাদাৎ মেমোরিয়াল হেলথকেয়ার (একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান) নামে একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের আত্মপ্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও ভরতভায়না মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, আমেনা শাহাদাৎ মেমোরিয়াল হেলথ কেয়ার সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকার বারডেম হাসপাতালের মা ও শিশু বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডাক্তার আবিদ হোসেন মোল্যা।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডিএস আবু সাঈদ মনজুরুল ইসলাম, নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এমএম আরাফাত হোসেন, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের সাবেক প্রধান ডাক্তার সঞ্জয় সরকার, কেশবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম, কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল ও যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লুৎফর রহমান।
এ সময় আরও বক্তৃতা করেন, চুকনগর ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এ. বি.এম শফিকুল ইসলাম, গৌরীঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক চেয়ারম্যান এসএম সিদ্দিকুর রহমান, সাংবাদিক জি. এম আব্দুস সালাম সবুজ ও জি.এম হিরোন তারেক, আউলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদুরুজামান তসলিম, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান, ডাক্তার পলাশ কুমার দে, গৌরীঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুণ কুমার দে, চুকনগর বাজার ব্যবসায়ী এসএম আলিমুজ্জামান রানা ও মাসুম মোল্যা। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন বেতীখোলা মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবু তালেব শেখ।
আমেনা শাহাদাৎ মেমোরিয়াল হেলথ কেয়ার সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার মোঃ আবিদ হোসেন মোল্লা ১৯৮২ সালে তিনি মেডিকেল অফিসার হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি জীবন শুরু করেন। তারপর মেডিকেল অফিসার হিসেবে পোস্টিং নিয়ে ময়মনসিংহ এর হালুয়াঘাট এবং পরে যশোরের ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকুরী করেন। সরকারী চাকুরী ছেড়ে ১৯৮৪ সালে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চাকরি নিয়ে সেখানে গমন করেন। ১৯৮৭ সালে দেশে ফিরে এসে ৮ম বিসিএস এর মাধ্যমে পুনরায় সরকারী চাকরি গ্রহণ করেন। মেডিকেল অফিসার হিসেবে পোস্টিং হয় যশোরের চৌগাছা উপজেলায়। ১৯৯০ সালে শিক্ষা বিভাগের সহকারী রেজিস্টার হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন। ১৯৯২ সালে প্রেড্রিয়েটিক্সে এফসিপিএস (FCPS) ডিগ্রী লাভ করেন। পোস্টিং সেখানেই থাকে।
অতপর: ১৯৯৩ সালে সহকারী অধ্যাপক (শিশু স্বাস্থ্য) হিসেবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন। পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যের ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন। দেশে ফিরে এসে ১৯৯৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং সর্বশেষ ২০০৪ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। এখন তিনি ঢাকা বার্ডেম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মা ও শিশু বিভাগের প্রধান প্রফেসর হিসাবে কর্মরত আছেন।