সাটুরিয়ায় পরকিয়ার টানে তিন সন্তান রেখে তিন বিয়ে । যে কোন সময় ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা!!!!! প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।

স্টাফ রিপোর্টার
0

 

মো: আবুবকর সিদ্দিক, স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক সারা দুনিয়া।


মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া উপজেলায় সাটুরিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়াডের চামুটিয়া গ্রামে ফজলের  ছেলে মো: রাসেল (২২)  

এর বিরুদ্ধে স্ত্রী ও শিশু সন্তান রেখে একাধিক  বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। 


স্ত্রী সন্তান থাকার সত্বেও গোলড়া এলাকার কাশেমের স্ত্রীর সালমার  (৩৫) সাথে পরকিয়ার সম্পর্কে  জড়িয়ে পড়ে। রাসেল ও সালমা তারাসিমা এপারলেস গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। 


তাদের অনৈতিক সম্পর্কে কারনে দুইজনকে চাকরি থেকে বের করে দেয়। গভীর ভালবাসার সম্পর্কের কারনে কাশেমের বাড়ি থেকে সালমা রাসেলের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে ভাড়া বাসায় থাকে। সালমার আগের স্বামী বিষয়টি টের পেলে সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করে। 

সাটুরিয়া থানা পুলিশ রাসেল ও সালমা কে আটক করে। দুই জনে আগের বিবাহিত হওয়ায়  দুই জন সন্তান থাকার কারনে যার যার পরিবারের লোকজন তাদের বাড়ি ফিরে নিয়ে যায়। 


একদিন পর রাসেল  সালমাকে নিয়ে পূনরায় পালিয়ে যায়।  কাউকে না জানিয়ে সালমা ১৩/০৯/২০২৩ ইং তারিখে নোটারী পাবলিক গাজীপুরে কাশেম কে তালাক দেয়।দুই সম্তান ফেলে রেখে সালমা ১৯/১২/২০২৩ ইং তারিখে ৩,০০,০০০/ তিন লক্ষ টাকা ধায্য করিয়া উক্ত গাজীপুর পাবলিক নোটারীতে সালমার তার আসল বয়স তথ্য গোপন করে ১২/০৭/১৯৯৯ ইং জন্ম দেখিয়ে জালিয়াতি করে 

উকিল দিয়ে কোটমেরেজ করে বিয়ে করে । প্রকৃতপক্ষে সালমার জন্ম তারিখ ০৭/১০/১৯৮৮


রাসেলের প্রথম বউয়ের কোলে ফুটফুটে শিশু সন্তান আছে। তার কোন তোয়াক্কা না করে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে কাশেমের বউ নিয়ে পালায় । তিন সন্তান রেখে নিয়মের বাহিরে তিন বিয়ে করায়  এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হচ্ছে। 


 

এ ঘটনা রাসেলের বাবা,মা, বিষয়টি জানলে  প্রথম স্ত্রী সাথীকে  বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। টাকার লোভে ছেলেকে দ্বিতীয় বউ সালমা  বাড়িতে তুলার সুযোগ করে দেয়। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাসেল দ্বিতীয় স্ত্রী ছালমা কে নিয়ে কয়েক দিন পালিয়ে থেকে নিজ এলাকা চামুটিয়া চলে  আসে। 


কয়েকদিন পার হলে গোলড়া থেকে সালমার আগে স্বামী 

ও তার ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে, ও কলেজে পড়ুয়া ছেলের কথা চিন্তা করে গোলড়া এলাকায় মাতাব্বরা রাসেলের বাড়ি চামুটিয়াতে আসে। এবং লম্পট রাসেলের কাছ থেকে  সালমা কে তালাক দিয়ে পূনরায় আগের স্বামী কাশেমের বাড়ি  গোলড়া এলাকার নিয়ে যায়।


পরকিয়ার জেরে সেখান থেকে পূনরায় ছালমা ও রাসেল পালিয়ে গিয়ে কাশেম তালাক না দিয়ে  ১২/০২/২০২৪ ইং তারিখে কোনাবাড়ী বাজার কাজী অফিসে  মো: শরীফ কাজী কাছে  ৫০,০০০/ পঞ্চাশ হাজার  টাকা কাবিননামা করে দ্বিতীয় বার বিবাহ সম্পন করে। 


রাসেলের প্রথম স্ত্রী পরিবার নিরুপায় হয়ে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে। সে মামলায় রাসেল কয়েক দিন জেল  খাটে। পরে কোট থেকে জামিনে বের হয়।


সে টাকা যোগান দিতে ও প্রেমিক রাসেল কে বাঁচাতে সাটুরিয়া সাবরেজিস্টার অফিসে তালাক প্রাপ্ত স্বামী কাশেম মিয়া নাম ব্যবহার করে ছালমা তার গোলড়া এলাকায় মার দেওয়া জায়গা বিক্রি করে স্হানীয় মেম্বার মোনায়েম খানের কাছে। একদিনে দুই স্বামীর পরিচয় প্রদান করে সালমা। অবশেষে মার শেষ সম্বল  জমি বিক্রি প্রেমিক রাসেলের কাছে পূনরায় চলে আসেন। 


 টাকার লোভে পড়ে রাসেলের মা,বাবা,তাই আগের  স্ত্রী সাথী কে ঘরে তুলে নিবে, মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তার বাবার বাড়ি বরুন্ডীতে থাকতে বলে। 


এ সময় চামুটিয়া গ্রামের মাতাব্বর মো: নুরুল ইসলাম, সহ আরো অনেকে বরুন্ডী এলাকায় প্রথম স্ত্রী ও শিশু কন্যা সহ রাসেলের সাথে স্বামীর  সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন  করার চেষ্টা চালায়। প্রথম স্ত্রী সাথী অস্বীকার করলে লেজ গুটিয়ে মাতাব্বরা চলে আসে। চামুটিয়া  এসে রাসেল ও দ্বিতীয় স্ত্রী ছালমা কু পরামর্শ সহ রাসেলের অন্যায়ের প্রশয় ও

সাহস দেন এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে স্হানীয় কিছু মাতাব্বরা।


সালমার জমি বিক্রির টাকার লোভে স্হানীয় কিছু পাতি মাতাব্বররা পরকিয়ার সমর্থন দেয় বলে এলাকাবাসী জানায়। 


 

বিষয় টি দুই পক্ষের পরিবারের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য 

সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো আনোয়ার হোসেন পিন্টু ও ৮ নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য মো জসিম উদ্দিন কে অবগত করেন।


 বৃহস্পতিবার সকালে স্হানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহে রাসেলের  বাড়িতে যায় এবং তাদের বিয়ে, ইসলামি ভাবে তালাক ও তিন সন্তান রেখে পূনরায় বিবাহ বিষয়ে রাসেলের কাছে জানতে চাইলে। রাসেল তাদের সাথে ক্ষিপ্ত হয় এবং খারাপ আচরন করে।

তাদের ভয়ভীতি দেখায়। 


 ঘটাস্হলে রাসেল ও তার সহযোগিতারা দাপটের সহিত এলাকাবাসীর ও  গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহিদ খারাপ আচরন করে তাদের হুমকি দামকি দেয়  । রাসেল ও সালমার বিয়ের কারনে তিনটি পরিবার  জন লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে।  যার ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে  তিন পরিবার ও তাদের শিশু সন্তানদের ভবিষ্যৎ। রাসেল ও প্রেমিক সালমার অনৈতিক সম্পর্কে বিরুদ্ধে ও তাদের প্রশয় দাতাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নেওয়ার দাবি জানিয়েছে   এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবাররা। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে  নেংকার জনক ঘটনা বিরুদ্ধে প্রশাসনের  হস্তক্ষেপ কামনা করছে। 


উল্লেখ্য কিছু দিন আগে এরকম ঘটনার ফলে সাটুরিয়ায় কয়েকটি হত্যার কান্ডের ঘটনা ঘটে।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)