পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরের ঐতিহ্যবাহী বালিয়াডাঙ্গা দেবালয়ে ২৪ প্রহরব্যাপী মহানাম সংকীর্ত্তন দেবালয়ের ভক্তবৃন্দ ও দেবালয় পরিচালনা কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় সোমবার বিকালে ভজন কীর্ত্তন, ঘট স্থাপন, গৌর আরতি ভাগবত, ভাগবত পাঠ ও গন্ধাদিবাস ও অধিবাসান্তে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ-২৪) সমাপ্ত হলো।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি ও বালিয়াডাঙ্গা সার্বজনীন দেবালয় ট্রাস্টের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্যামল সরকার। সার্বিক যজ্ঞানুষ্ঠান পরিচালনায় শ্রী অপরূপ গৌর কিশোর দাস বাবাজি মহারাজ (অনন্ত প্রভু)।
ভাগবত আলোচনায় ছিলেন, বিদগ্ধ পাঠক সাতক্ষীরা, বুধহাটার শ্রী বিল্লমঙ্গল দেবনাথ। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার হরিনাম মহাসংকীর্তন। শুক্রবার কুঞ্জভঙ্গ, নগর সংকীর্ত্তন মধ্যাহ্নকালীন মহাপ্রভুর ভোগরাগ ভোগআরতী, দধিরভাণ্ডভঞ্জন ও মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় কেশবপুরের ঐতিহ্যবাহী বালিয়াডাঙ্গা দেবালয়ে ২৪ প্রহরব্যাপী মহানাম সংকীর্ত্তন। বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ নামযজ্ঞে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে মহানাম সুধা পরিবেশন করেন মাদারীপুরের বিষ্ণু মন্দির সম্প্রদায়-মাষ্টার বিষ্ণুবাবু, খুলনার নবদ্বীপ সম্প্রদায়-মাষ্টার সন্তোষবাবু, যশোরের যুগল-কিশোর সম্প্রদায়-মাষ্টার সনজিৎ রায়, বাগেরহাটের আদি রামকৃষ্ণ সম্প্রদায়-মাষ্টার অমলেন্দু বাবু, যশোরের পথের পাগল সম্প্রদায়-মাষ্টার দ্বীনবন্ধু কৃষ্ণ দাস। অধিবাস কীর্ত্তন পরিচালনা ও সেবায়েত নাংলা, তালার বানেশ্বর সম্প্রদায়ের মাধব গাঙ্গুলী।