পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুর উপজেলা মঙ্গলকোট থেকে সবুজ শিক্ষা নিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছরের মতো শুক্রবার (৮ মার্চ-২৪) কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী গদখালী শিক্ষা সফর হিসাবে বেছে নেয়। সকাল ১০ টায় মঙ্গলকোট থেকে নোয়াখালী-জ ১১-০০৩৪ নং বাসগাড়ি যোগে রওয়ানা হয় গন্তব্যস্থলের দিকে। উপদেষ্টা ছিলেন, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আবুবক্কর সিদ্দিকী, সদস্য পরেশ দেবনাথ, ডাঃ আব্দুস সাত্তার, ডাঃ নজর উদ্দিন সানা, জালাল উদ্দীন সরদার, অভিভাবকগণ, শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান-এর নেতৃত্বে রওয়ানা হওয়ার পথে মনিরামপুর উপজেলার ঝাপা বাওড়ের উপর নির্মিত অনাথের ভাসমান খেয়াঘাট। সেখান থেকে সোজা চলে যাওয়া হয় ফুলের রাজধানী গদখালীতে। খাওয়াদাওয়ার পর সেখান দুই ঘন্টা সময় ঘুরে ফিরে দেখা হয়। নাগরদোলা, রেলগাড়ি, একটি পুকুরের এপার থেকে ওপার পর্যন্ত তারের ওপর গাড়ীতে করে পাড়ী দিচ্ছে উৎসুক যাত্রীরা। কেউবা টিকিট কেটে ঢুকছে ফুলের বাগান দেখতে। কেউবা বিনা টিকিটে ফুলের বাগান দেখতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে।
গদখালী বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী হিসাবে সুপরিচিত। কেশবপুর থেকে ৩৩ কলোমিটার যশোর জেলা শহর। সেখান থেকে বেনাপোলের দিকে ১৮ কিলোমিটার এগুলেই গদখালী বাজার। গদখালীতে আসা ফুলগুলো যশোর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঝিকরগাছা ও শার্শা থানার ৯০ টি গ্রামের প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমিতে চাষ করা হয়। ঝিকরগাছা ও শার্শা থানার গ্রামগুলোর রাস্তার দুইপাশে দিগন্তবিস্তৃত জমিতে লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি আর সাদা রঙের ফুলের সমাহার দেখে মনোমুগ্ধের হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। এছাড়া ফুলের সুগ্রান, মৌমাছির গুঞ্জন, আর রঙিন প্রজাপতির ডানায় ভর করে এখানে আসে চিরন্তন সুন্দরের বারতা। আব্দুল ওহাব বললেন, এখন ফুলের দাম কম, এক একটা গোলাপ তিন টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এবার সেখান থেকে যশোর বিমানবন্দরে প্লেন উঠানামা দেখে বাড়ির পথে যাত্রা করা হলো। কোমল মতি শিশুরা গাড়ীতে যাতায়াাতে নাচগান করে আনন্দ উপভোগ করেছে যথেষ্ট।