পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরের সাগরদাঁড়ির কপোতাক্ষ নদের তীর প্রতিরক্ষার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী-২৪) দুপুরে মাইকেল মধুসূদন-এর স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের বিদায় ঘাট এলাকায় তীর প্রতিরক্ষা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ প্রধান অতিথি হিসেবে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলাম শুভ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, কপোতাক্ষ নদের সাগরদাঁড়ি নামক স্থানের বিদায় ঘাটের আধা কিলোমিটার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮ টাকা ব্যয়ে নদের তীর প্রতিরক্ষা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে কাজের তত্ত্বাবধায়ক গাদ্দাপি মোল্যা জানান, কপোতাক্ষ নদের পাড় বাঁধানোর জন্য ২৫ হাজার পিস ব্লক তৈরী করতে হবে। এর ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এলাকার শফিউর রহমান জানান, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য কয়েক বছর আগে নদের পশ্চিম পাড়ে ৬'শ মিটার হরিতকী, বয়রা, ছবেদা, শিশু, আম কাঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ লাগানো হয়েছে, তা এখন সৌন্দর্যবর্ধন করছে।
সাগরদাঁড়ি গ্রামের আধিবাসী শিবপদ হালদার জানান, আমরা এই নদে জাল দিয়ে মাছ ধরি। বর্ষার সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের মাছ পেয়ে থাকি। এমন কি মাঝেমধ্যে ইলিশ মাছও পাই।
সাগরদাঁড়ি আদিবাসী শিবপদ হালদার জানান, আমরা এই নদে জাল দিয়ে মাছ ধরি। বর্ষার সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের মাছ পেয়ে থাকি। এমন কি মাঝেমধ্যে ইলিশ মাছও পাই।
মাইকেলের সাগরদাঁড়ির কথা আলোচনা করতেই প্রথমে আসে কপোতাক্ষ নদ। কারণ সরাসরি বঙ্গোপসাগরে সংযোগ থাকা এ নদের কূলেই কবির বাড়ি। বাবার সঙ্গে রাগ করে কবি দেশ ছাড়ার পর অসুস্থ মাকে দেখতে এসে পুনরায় যে নদের ঘাটে এসে নৌকা ভিড়িয়েছিলেন, সেই নদ এই কপোতাক্ষ। পিতার কঠোরতায় সাহস করে পা রাখতে পারেনি রাজপ্রাসাদে। এই ঘাটে মধু তাবু গেড়ে ১৪ দিন কাটিয়েছিলেন এবং এখান থেকে পুনরায় বিদায় নিয়েছিলেন। সেকারণে এই ঘাট বিদায় ঘাট নামে পরিচিত। নদের সেই স্মৃতিবিজড়িত ঘাট এখনো আছে। তবে কবির স্মৃতিবিজড়িত নদের সেই প্রবাহ আর নেই।