পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
খেলাঘর কেশবপুর উপজেলা শাখা আসরের পক্ষ থেকে প্রতি বছরের মতো শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী-২৪) বন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে যান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর মাজার টুঙ্গীপাড়া, গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। টুঙ্গীপাড়াকে বদলে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স। কমপ্লেক্সের সামনের, দু'পাশের উদ্যান পেরোনোর পরই বঙ্গবন্ধুর কবর। পাশেই তার বাবা-মায়ের কবর। সকাল ৯ টায় কেশবপুর থেকে কুমিল্লা-জ ১১-০০৮২ নং বাস গাড়ীটি ছেড়ে যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর মাজার, টুঙ্গীপাড়া, গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্য। এর পর বাগেরহাট মাজার ও ষাট গম্বুজ যাওয়ার পর গন্তব্যস্থল কেশবপুর ফিরে যান। এই বার্ষিক সফরে নেতৃত্ব দেন, খেলাঘর কেশবপুর উপজেলা শাখা আসরের সভাপতি আব্দুল মজিদ বড়ভাই ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম রবিউল আলম। টুঙ্গীপাড়া ঘোরা-ফেরা শেষে খেলাঘরের বিভিন্ন শিল্পীরা গান, কবিতা, কোতুক পরিবেশনে মুগ্ধ করে তোলেন শ্রোতাদের। সেদিন এসেছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: তরিকুল আলমসহ সরকারি কর্মকর্তারা। আরও দেখা হয়ে গেল, কেশবপুরের সন্তান খেলাঘর-কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও ইউএনডিপি-এর রিজিওনাল প্রোজেক্ট অফিসার (খুলনা) অশোক অধিকারী-এর সাথে।
বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে পাঠাগার, গবেষণাকেন্দ্র, প্রদর্শনী কেন্দ্র, মসজিদ, পাবলিক প্লাজা, প্রশাসনিক ভবন, ক্যাথেটেরিয়া, উন্মুক্ত মঞ্চ, বকুলতলা চত্বর, স্যুভেনির কর্নার, প্রশস্তপথ, মনোরম ফুলের বাগান ও কৃত্রিম পাহাড়। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীরা ও ভক্তরা এই কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন। ভ্যান চালক সেলিম ভাই বললেন, এখান বঙ্গবন্ধুর বহু জমিজমা আছে যা এলাকার মনুষ ফ্রি চষাবাদ করে খান এবং অনেক জমি ফেলানোও আছে।
গ্রামটি পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে হলেও গ্রামের নামেই উপজেলা সদরের নামে নামকরণ হয়েছে টুঙ্গীপাড়া। এই টুঙ্গীপাড়াতেই ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে মৃত্যুহীন প্রাণ নিয়ে জন্মভিটা টুঙ্গীপাড়ায় ফিরে আসেন তিনি। পরদিন পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।