স্থানীয় সংবাদ, দৈনিক সারা দুনিয়া।
শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের ধোতরা গ্রামে অবস্থিত কৃষি ইনস্টিউটিটের পশ্চিম পাশে এক নারীকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। নিহত ঐ নারীর নাম শারমিন বলে জানা গেছে। পরকীয়ার জের ধরে শারমীন আক্তারকে(৩০)গলা কেটে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাটুরিয়া থানার অফিসাই ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম মোল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে মরদেহ উদ্বার কওে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কে বা কারা হত্যা করে মরদেহ ফেলে গেছে।
খুন হওয়া শারমিন আক্তার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বরুন্ডি গ্রামের মানু শিকদারের কন্যা।
মানু শিকদার বলেন, আমার মেয়ের সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর থানার হাসাদা গ্রামের তহিরুদ্দীনের পুত্র মানোয়ারের (৪২) এর সাথে ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৩ সন্তান রয়েছে।
মনোয়ার বলেন, আমাদের সংসার ভালই চলছিল। আমার স্ত্রী ৫ বছর ধরে ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখুলা গ্রামের রাজ্জাক মুন্সির পুত্র রতনের সাথে সম্পের্কে জরিয়ে পড়ে। এর আগে তারা পালিয়ে গিয়েছিল। তাও আমি সেটা মেনে নেই।
গত ২২ জানুয়ারি শারমিন রতনের সাথে পালিয়ে যায়। ২৪ জানুয়ারি আমাকে তালাক নামা পাঠিয়ে দেয়। আমাদের ঘরে ৩ সন্তান থাকায় এলাকাবাসী শারমিনকে বুঝিয়ে বরুন্ডি নিয়ে আসে। আজ বিকালে আমার সাথে পূনরায় বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু দুপুরেই সে খুন হল।
মানু শিকদার বলেন, আমার মেয়েকে দুপুরে ডেকে নিয়ে আসে ২য় স্বামী রতন। শারমিনকে ওর সন্তানদের কথা চিন্তে করে পূনরায় বিয়ে দেবার কথা ছিল আজ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২য় স্বামী রতন তাকে গলা কেটে হত্যা করতে পারে।
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, পরকীয়া সংক্রান্তের জের ধরেই এ নৃশংষ হত্যা। জিঙ্গাসাবাদের জন্য আমরা ১ম স্বামী মানোয়ারকে আটক করেছি। বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত মামলা হয়নি। মামলা হলে ২য় স্বামী রতনকেও গ্রেফতার করে আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসা হবে।