পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
তুমি কে গো-'আমি শিমুল' তুমি কে গো-'কামিনী ফুল' তোমরা কে গো-'আমরা নবীন পাতা গো', শালের বনে, ভারে ভারে। "-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শিমুল পলাশের রঙে কোকিলের কুহু ধ্বনিতে বসন্ত এসে গেছে। রঙিন প্রজাপতি ফুলে ফুলে খুঁজে ফেরে সুখের আবেশ।
কেশবপুরে (১৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পহেলা ফাল্গুন-১৪৩০ বসন্ত উৎসব উৎযাপিত হয়েছে। বসন্ত উৎসব উদযাপন পর্ষদ-১৪৩০-এর আয়োজনে কেশবপুর পাবলিক ময়দানে ওই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুহিন হোসেন-এর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুণ্ডু ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি শেখ শাহিনুর রহমান-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বসন্ত উৎসব উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক ও কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ- জামান খান।
বক্তব্য রাখেন, বসন্ত উৎসব উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব ও বেগমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন মণ্ডল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, কেশবপুর ন্যাশন্যাল প্রেস সোসাইটির সভাপতি শামীম আক্তার মুকুল, কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্তী, কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ-এর এলাকা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, 'ওয়ার্ড'-এর নির্বাহী পরিচালক ও খেলাঘর জাতীয় পরিষদের সদস্য সৈয়দ আকমল আলী, কেশবপুর পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মছিহুর রহমান, চারুপীঠ একাডেমির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ও সাহিত্যিক তাপস মজুমদার, ফকিরহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার শোভা রায়, চারুপীঠ একাডেমির পরিচালক উৎপল দে, যন্ত্র সংগীতের প্রধান ও পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল ব্যানার্জী প্রমূখ। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, উল্লাস, চারুপীঠ একাডেমি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাবলিক মাঠের অনুষ্ঠানস্থলে এসে শেষ হয়।