পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
যশোরের কেশবপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভুল অপারেশনে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগে অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করে দেওয়া হয়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি-২৪) রাতে কেশবপুরে বেসরকারি ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে সম্পা খাতুন (৩২) নামের এক প্রসূতির ভুল অপারেশনে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রয়ারী) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনায় প্রশাসন ওই হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কেশবপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নিহতের স্বজনরা জানান, পার্শ্ববর্তী মণিরামপুর উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের আরিফুর রহমানের স্ত্রী প্রসূতি স্বপ্না (৩৫) কে বুধবার দুপুরে তার মা সুফিয়া বেগম কেশবপুর শহরের ক্রিস্টাল হাসপাতালে সিজারের জন্য ভর্তি করেন। সন্ধ্যার পর কেশবপুর সরকারি হাসপতালে ডাক্তার নাজিয়া নওরীণ জিশান স্বপ্নার সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এসময় তার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানটি সুস্থ্য আছে। সিজারের পর রোগির অবস্থা আশংকাজনক হলে ওই রাতেই স্বপ্নাকে খুলনায় রেফার করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। খুলনা যাওয়ার পথে রোগি মারা যায়।
নিহতের স্বামী হাসাডাঙ্গা গ্রামের আরিফুর রহমান জানান, ডাক্তারের অবহেলার কারণে তার স্ত্রী মারা গেছে। সিজারের পর রোগি মারা যাওয়ার ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন এবং হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আহসানুল মিজান রুমি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ক্রিস্টাল হাসপাতাল পরিদর্শন করে অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করে দিয়েছেন।
ক্লিনিকের ম্যানেজার শফিকুর রহমান মিলন জানান, অপারেশনের পর রোগির প্রেসার বেড়ে গিয়ে খিচুনি শুরু হয়। এরপর রোগির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরবর্তীতে রাস্তায় রোগী মারা যায়।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন জানান, সিজারের পর রোগী মারা যাওয়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ওই ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার আয়েশা আক্তারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।