পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
যশোরের কেশবপুরের নূতন মূলগ্রাম দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) বিকেলে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা কর্মী পদে আবেদনকারী মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, নূতন মূলগ্রাম দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় সহ-সুপার, নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করেন। আমি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মারফত জানতে পেরে নিরাপত্তা কর্মী পদে আবেদন করি। আবেদন করার পর মাদ্রাসার সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমাকে ১২ লাখ টাকা জোগাড় করতে বলা হয়। নিয়োগ পত্র বাছাইয়ের আগে সুপার জানায়, তার অন্য প্রার্থী ঠিক হয়ে গেছে। আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি, প্রতিটি পদের বিপরীতে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা করে প্রায় ৪০ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি-২৪ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে গোপনে মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সাত্তার নিয়োগ বোর্ড গঠনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। আমাকে সাক্ষাৎকার বোর্ডে উপস্থিত হওয়ার জন্য কোন পত্র দেওয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি ওই নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনকালে উপস্থিত ছিলেন নূতন মূলগ্রাম দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ হেল বাকি, আব্দুর রহিম, আব্দুর রহমান ও হাবিবুল্লাহ। তারা জানান, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় চারটি পদে যে নিয়োগ দেওয়া হবে সে সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মূলগ্রাম দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সাত্তার বলেন, আগামী দুই ফেব্রুয়ারি নিয়োগ বোর্ড করার জন্য কাউকে কোন পত্র দেওয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে ৪টি পদে যে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে, সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট। ষড়যন্ত্রমূলক মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করার জন্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওই সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন খান বলেন, ওই মাদ্রাসার নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে।