“মাইকেল মধুসূদন দত্ত আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রবর্তক”-ড. আহসান হাবীব।

স্টাফ রিপোর্টার
0

পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।


যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আহসান হাবীব বলেছেন, 'মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রবর্তক, প্রথম বিদ্রোহী কবি, চির আধুনিক কবি। বাঙালি রেনেসাঁর শ্রেষ্ঠ কবি মধুসূদন দত্ত। তারই ফলে বাঙালি সংস্কৃতিতে স্বদেশ প্রেম ও জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটেছে। বিশ্ব সাহিত্যে বাংলা ভাষার যোগাযোগ ঘটিয়েছেন তিনি। তাঁর সাহিত্যে কি কবিতায় কি নাটকে সর্বক্ষেত্রে বাঙালী জাতীয়তাবোধকে জাগ্রত করেছেন। মহাকবির সাহিত্য সাধনা যেনো সার্বজনীনভাবে তরুণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে পারে সেই কামনা করি।'

কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী) রাতে মধুমেলার অষ্টম দিনে মধুমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে যশোরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসান-এর সভাপতিত্বে এবং কেশবপুর উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু ও যশোরের অক্ষর শিশু শিক্ষালয়ের সককারী শিক্ষক আফরোজা নাসরীন নীলিমা-এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত ও যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। 

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দৌলা, সুরধনী' সভাপতি হারুন অর রশিদ, যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, ওয়াকার্স পার্টির যশোর জেলা সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুবকর সিদ্দিকী, দৈনিক জনকণ্ঠের যশোর জেলা প্রতিনিধি সাজেদুর রহমান, কেশবপুর সরকারী পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও কেশবপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মছিহুর রহমান, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসাইন ও দৈনিক প্রথম আলোর যশোর জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম। 

বক্তারা মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সাগরদাঁড়িতে একটি সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবী রাখেন। তাছাড়া মাইকেলের সমাধিস্থল সাগরদাঁড়িতে স্থানান্তরের দাবীও জানান। 

 কেশবপুর আবহমার-এর পরিচালক রিয়াজ লিটন ও কেশবপুর চারপীঠ একাডেমির পরিচালক উৎপল দে-এর উপস্থাপনায় প্রথম পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং তৃতীয় পর্বেের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল মাগুরা মিলন নাট্যগোষ্ঠীর কতৃক যাত্রাপালা 'আমি জেল থেকে বলছি'। মধুমেলার অষ্টম দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছিল তৎপর। শণিবার মধুমেলার শেষ দিন।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)