পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এঁর ২০০তম জন্মবার্ষিকী ও মধুমেলা-২০২৪ উপলক্ষে আজ ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে ২৭ জানুয়ারি শণিবার ৯ দিন ব্যাপী যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে শুরু হচ্ছে মধুমেলা। মেলায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমন ঘটে। এজন্য মেলা প্রাঙ্গনে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে জেলা প্রশাসক, যশোর মহোদয়ের সভাপতিত্বে আইন শৃংখলা উপ- কমিটিসহ অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী-২৪) বিকেলে কেশবপুরস্থ সাগরদাঁড়ী মধুমঞ্চে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলা সফল করতে জেলা প্রশাসন, কেশবপুর উপজেলা প্রশাসন ও মধুসূদন একাডেমী সাগরদাঁড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মেলা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল ৫ টায় অতিথিবৃন্দের আসন গ্রহণ, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, স্বাগত বক্তব্য, শুভেচ্ছা বক্তব্য, বিশেষ অতিথিবৃন্দের বক্তব্য, প্রধান অতিথির বক্তব্য এবং মধুমেলা ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা। মেলার উদ্বোধন করবেন, প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন চেয়ার অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়ার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস। বিশেষ অতিথি জনাব শেখ আফিল উদ্দিন মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, যশোর-১। জনাব মোঃ তৌহিদুজ্জামান, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, যশোর-২। জনাব কাজী নাবিল আহমেদ মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, যশোর-৩। জনাব এনামুল হক বাবুল, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, যশোর-৪। জনাব মোঃ ইয়াকুব আলী, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, যশোর-৫।জনাব মোঃ আজিজুল ইসলাম মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, যশোর-৬। জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএম, পুলিশ সুপার, যশোর। জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম মিলন সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যশোর জেলা শাখা। জনাব সাইফুজ্জামান পিকুল চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, যশোর। জনাব কাজী রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, কেশবপুর, যশোর। স্বাগত বক্তব্যঃ জনাব মোঃ তুহিন হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কেশবপুর, যশোর। সভাপতিঃ জনাব মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, জেলা প্রশাসক, যশোর। সন্ধ্যা ৭:৩০ ঘটিকা: আলোচনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি।
মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ তুহিন হোসেন বলেন, ৯ দিনব্যাপী মধু মেলায় থাকছে কবির সৃষ্টি ও সাহিত্য কর্মের উপর দেশ-বিদেশি কবি সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে আলোচনাসভা, কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, আবৃত্তি, মধুগীতি পরিবেশনা ইত্যাদি। কুঠির শিল্প ও গ্রামীণ পসরা নিয়ে মেলায় বসবে প্রায় দুইশ স্টল।
মাইকেল মদুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন জমিদার। ১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মাইকেল মদুসূদন দত্তের কালজয়ী রচনাবলীর অন্যতম হলো-মেঘনাদবধ কাব্য, শর্মিষ্ঠা, ক্যাপটিভ লেডী, কৃষ্ণকুমারী, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো, বীরাঙ্গনা। এ মহাকবির জন্মের কারণেই সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ নদ জগৎবিখ্যাত। কালের প্রবাহে কপোতাক্ষ নদের যৌবন বিলীন হলেও মাইকেলের কবিতার কপোতাক্ষ নদ যুগে যুগে বয়ে চলেছে। সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা উপলক্ষে কবির জন্মভূমির স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদ, জমিদার বাড়ির আম্রকানন, বুড়োকাঠ বাদাম গাছতলা, বিদায় ঘাটসহ মধুপল্লী হাতছানি দিয়ে ডাকছে মধু ভক্তদের। মধু ভক্ত লাখো মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হবে সাগরদাঁড়ির চারপাশ। বর্ণিল সাজে সেজেছে সাগরদাঁড়ি।