পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার শংকর কুমার দাসের পুষ্প কমল বাড়িটি যেন একটি আজব চিড়িয়াখানা।
কেশবপুর উপজেলা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুজাপুর গ্রামটি। কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা দেবালয় থেকে বাঁদিকের রাস্তাটি বেয়ে সুজাপুর গ্রামের মধ্যে তার বাড়ি। হরেক রকমের গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, হরিণ, ময়ুর, খরগোশ, পাখি ও গাছ-গাছালী ও ফুলের বাগানে ভর্তি এক আজব বাড়ি।
তিনি সখের বশবর্তী হয়ে বাড়িতে এগুলো পুষেছেন ও লাগিয়েছেন বলে জানান। তার চিড়িয়াখানাটি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে আবাল-বৃদ্ধ- বনিতা। দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে লোকজনের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।
শুধু তা-ই নয় অল্প বয়সী ভিয়েতনামীয় নারকেল গাছে নারকেলও ধরেছে। কয়েকটি গাছে চুমরীও আছে।
তিনি বলেন, ২০২৩ ইং সালে লাইসেন্সসহ তিনটি হরিণ এনেছি। পশু-পাখির খামার বানিয়েছেন এর অনেক আগে থেকে। তার খামারে এখন ২৯ টি ফ্রিজিয়ান গরু, ব্লাক বেঙ্গল, তোতামুখি, দেশি ছাগল প্রায় ১০০ টি, ১০ টি খরগোশ, ৩ টি ময়ূর, বিভিন্ন জাতের হাঁসের সংখ্যা প্রায় শতাধিক, কোটার, রেংগ, রেচার, স্টেচার, জগাকিং, ময়ূরপঙ্খিসহ বিভিন্ন জাতের কবুতর, লাভ বার্ড, কোকাটেল, পাজেরিকা, টিয়া, কালিম পাখি, তোতামুখি, ময়নাসহ বহু পাখির আছে।
এ ছাড়াও ১৮ টি ভিয়েতনামের নারকেল গাছ আছে, যার দুটিতে নারিকেল ধরেছে। বায়োগ্যাস প্লান্ট রান্না-বান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। হরিণ শাবকের তোলা খাবারসহ কাঁঠালের পাতা খেতে দেখা যায়। বিভিন্ন জাতের ফুল দ্বারা পরিবেষ্ঠিত বাড়িটি।
সরেজমিনে চিড়িয়াখানাটি দেখলে মন জুড়িয়ে যাবে সকলের।