পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এঁর ২০০তম জন্মবার্ষিকী ও মধুমেলা-২০২৪ উপলক্ষে ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে ২৭ জানুয়ারি শণিবার ৯ দিন ব্যাপী যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে শুরু হয়েছে মধুমেলা। ৬ষ্ঠ দিন বুধবার (২৪ জানুয়ারী) বিকালে আবহাওয়া খারাপ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় সংস্কৃতিক সংগঠন উল্লাস-এর অনুষ্ঠানটি দর্শকদের মন জয় করেছে। সমগ্র আয়োজন ছিল মনোমুগ্ধকর।
কেশবপুরের সাংস্কৃতিক সংগঠন উল্লাস, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ উজ জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক উৎপল দে'র সার্বিক দিক নির্দেশনায় সমগ্র আয়োজন ছিল মনোমুগ্ধকর। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উৎপল দে'র পরিচালনায়, কবিতা আবৃতি, ক্ষুদে শিল্পীদের সমবেত সঙ্গীত, নৃত্য পরিবেশন ও বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে শিল্পী উল্লাস ও চারুপীঠ একাডেমির সঙ্গীত প্রশিক্ষক ইন্দ্রজিৎ সাধু-এর একক পরিবেশনা শ্রোতাদের মন জয় করেছে বলে জানান' মধুমেলা ও সঙ্গীত প্রেমিক শ্রোতারা। সংগঠনের ক্ষুদে আবৃত্তি শিল্পী শুচি, নিশাত, আলিশা, ফাইজার এর কবিতা আবৃত্তি ও প্রত্যয়ী ঘোষের নৃত্যে দর্শক শ্রোতা করতালিতে মুখরিত করে তোলে মেলা প্রাঙ্গন।
সমবেত সংগীত পরিবেশন করে সংগঠনের শিশুশিল্পী- সৃজন, উপমা, রুপকথা, এথেনা, অনুভব, পার্থিব,
হৃদিতা,অনুষ্কা, মিথিলা, রাখি দে ও তাথৈ। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন উল্লাস-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী সরকার, শ্রাবন্তী রায় ও শ্রাবণী সাহা।
স্থানীয় বাসিন্দা, যিনি মধুসূদন-এর ওপর কাজ করেন আলোকচিত্রকর মুফতি তাহেরুজ্জামান বলেন, সারা দেশে শৈত প্রবাহের কারণে লোকজন বেশ কম। মধুপল্লীর দোকানদারেরা বলছেন, শীতের কারণে লোকজন কম আসছেন সে কারণে বেচাকেনাও কম হচ্ছে।