পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির পথ দেখাতে চান আজিজুল ইসলাম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন যশোর-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম (খন্দকার আজিজ)। আজিজুল ইসলাম উপজেলার ব্রহ্মকাটি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা খন্দকার রফিকুজ্জামান, মাতা ফরিদা বেগম। মাত্র ২৮ বছর বয়সে সংসদ সদস্য হিসেবে গতকাল বুধবার শপথ নিয়েছেন তিনি। ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা নেতার আগামীর পরিকল্পনা জানতে তার মুখোমুখি হন সাংবাদিকরা। প্রথমবার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তাঁর অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অনুভূতি প্রকাশের ভাষা আমার নেই। এলাকার মানুষের স্নেহ ও ভালোবাসায় আমি সিক্ত। তারা আমাকে তাদের কল্যাণে কাজ করার জন্য নির্বাচিত করেছেন, ভালো-মন্দের ভার আমার কাঁধে তুলে দিয়েছেন। এই জয়ের পুরো কৃতিত্ব আমার এলাকার জনগণের। আজ জাতীয় সংসদে এমপি হিসেবে শপথ নিলাম। সেখানে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সবাই আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেছেন, অভিনন্দন জানিয়েছেন। সবার আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। রাজনীতিতে হাতেখড়ি কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতির শুরু ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে। এলাকার স্কুল-কলেজে পড়ালেখা করেছি। যশোরের সাদেক পরিবারের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা। দীর্ঘদিন ইসমাত আরা সাদেক-এর পাশে থেকে রাজনীতি করেছি, শিখেছি। আমি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলাম। পরে জেলা পরিষদের সদস্য হই। সেখান থেকে পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য হলাম। সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন দেখার শুরু কবে থেকে জানতে চাইলে বলেন, তৃণমূলে যারা রাজনীতি করেন তাদের প্রত্যেকের নেতা হওয়ার স্বপ্ন থাকে। এমপি হব এমন স্বপ্ন দেখা খুব বেশিদিনের না হলেও এলাকার জনগণই আমাকে সেই স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তারাই আমাকে এ পর্যন্ত পৌঁছাতে সাহস জুুগিয়েছেন।
বিমানবন্দর থেকে বাইরে আসলে শত শত নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। কেশবপুর আসার পর আরও ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। কেশবপুরকে চাঁদা, ঘুষ এবং দুর্নীতিমুক্ত রাখতে চান। মাদকের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ ঘোষনা করেছন। মদ, গাঁজা থেকে যুবসমাজকে দূরে থাকতে বলেন। প্রশাসনের সহযোগীতায় তিনি ওইগুলো কেশবপুর থেকে মুক্ত করতে চান। এককথায় তিনি বলেছেন, কেশবপুরকে সুষ্ঠু ও শান্তির কেশবপুর গড়তে চান।