পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশ সরকারের মাননীয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব ফরহাদ হোসেন বলেছেন, 'মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবিতা পড়লে মাতৃভূমির প্রতি একটা টান অনুভব করা যায়। তিনি তাঁর জন্মভূমির প্রতি যেভাবে সম্মান দিয়েছেন, আমার মনে হয় খুব কম সংখ্যক কবিই আছেন যারা এভাবে তাঁর জন্মভূমির প্রতি আকর্ষণ ও মমত্ববোধ তুলে ধরতে পেরেছেন। যতো বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আছে, সকলের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মানের জনপদ হচ্ছে সাগরদাঁড়ি।
তিনি আরও বলেন, "আমি খুলনাতে লেখাপড়া করেছি, সাগরদাঁড়ির প্রতি আমার আকর্ষণ আছে এবং থাকবে। এই স্মৃতিকে জাগিয়ে রাখার জন্য এখানে ভাল একটা কিছু হোক আমিও চাই। আপনাদের নবনির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য আছেন, তিনি সংসদে আপনাদের দাবী উত্থাপন করবেন। আমি আপনাদের দাবীর বিষয় যথাসাধ্য চেষ্ঠা করবো।"
কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শণিবার (২৭ জানুয়ারী) রাতে মধুমেলার সমাপনী দিনে মধুমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যশোর জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার-এর সভাপতিত্ব এবং যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সৈয়দা তামান্না হোরায়রা ও যশোর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস-এর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যশোর-৬ মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মোঃ আজিজুল ইসলাম, যশোর বিপিএম (বার), পিপিএম পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, ডিসেমিনেশন অফ নিউ কারিকুলাম স্কিম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড.কুদরত-ই-হুদা ও কেশবপুর আবু শারাফ সাদেক কারিগরি কলেজের প্রভাষক কানাইলাল ভট্টাচার্য।
কেশবপুরের পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল ব্যানার্জী ও কেশবপুর উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুণ্ডু-এর উপস্থাপনায় প্রথম পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং তৃতীয় পর্বেের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল মাগুরা মিলন নাট্যগোষ্ঠীর কতৃক যাত্রাপালা 'আমি জেল থেকে বলছি'। মধুমেলার সমাপনী দিনে মানুষের ঢল অন্যদিনের চেয়ে একটু কম থাকলেও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান ছিল উৎসবের আমেজ। আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে স্রোতা-দর্শকেরা। ইউ,এস,এ থেকে এসেছিলেন 'প্যাম' মধুমেলার আনন্দ উপভোগ করতে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছিল অত্যন্ত তৎপর। ।
৩য় পর্বে যশোর জেলার অংশগ্রহণকারী সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ অংশগ্রহণ করে। বিশেষ আকর্ষণ ছিল, যশোর যাত্রা ইউনিট কতৃক আয়োজিত যাত্রাপালা "মমতাময়ী মা"।