পরেশ দেবনাথ, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি , দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সেনা সদস্যের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার মঙ্গলকোট ইউপি সদস্য কামরুল হাসানের ছেলে বাংলােদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মাহমুদুল হাসান মারুফ (২৩) সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। তিনি বংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সেনা সদস্য মাহমুদুল হাসান মারুফ অবিবাহিত। পিতা কামরুল হাসানের ২ ছেলে ও এক মেয়ে। ২ ছেলের মধ্যে মারুফ বড়। ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন পিতা।
ছুটিতে এসে রোববার (২১ জানয়ারী) মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এঁর ২০০ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে মধুমেলায় বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। বাড়ী ফেরার পথে তার মোটর সাইকেল ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সেনা সদস্য মাহমুদুল হাসান মারুফ আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাৎক্ষণিক বাংলদেশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সেখানে সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (২২ জানুয়ারী) তার জন্মস্থান যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের কেদারপুর গ্রামে আনা হয়। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
সেনা সদস্যগণের প্রধান ক্যাপ্টেন মাজহার জানান, আমরা যশোর থেকে ২২ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি টিম এসেছি। বিকাল সাড়ে ৫ টায় কেদারপুর জামে মসজিদের সামনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অফ অনার দেওয়ার পর কেদারপুর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস, প্যানল চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন সরদার, ইউপি সদস্য আব্দুল বারী, মোসলেম উদ্দিন গোলদার, কেশবপুরের সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, পাঁচারই টিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোনতাজ আলী, মঙ্গলকোট বাসস্ট্যান্ড বাজার কমিটির প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল জলিল সরদার, প্রাক্তন মেম্বার মহাতাব উদ্দীন সরদার, জাতীয় পার্টির নেতা জালাল উদ্দীন সরদার, কেশবপুর উপজেলা খেলাঘরের দপ্তর সম্পাদক সোহেল পারভেজসহ দুই হাজারোর্ধ মুসল্লি মারুফ হাসানের জানাজায় অংশগ্রহন করেন। জানাযা পড়ান আলহাজ্জ মোঃ আব্দুল জলিল।