সাগরদাঁড়িতে "আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত" এর ৯ দিন ব্যাপী মধুমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে- প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন।

স্টাফ রিপোর্টার
0

পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।


আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। উন্নত মানের শিক্ষা আমাদের প্রয়োজন। যে শিক্ষায় নিজেদের উন্নত করে দেশের সেবাই নিয়োজিত থাকা যায়। মধুমেলা যেন নির্মল আনন্দের মেলায় পরিনত হয়। পরিবার পরিজন নিয়ে সকলে যেন মেলা উপভোগ করতে পারেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে কবির শিক্ষা পৌঁছে দিতে হবে। বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এঁর ২০০তম জন্মবার্ষিকী ওমধুমেলা-২৪ উপলক্ষে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে ১৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) থেকে ২৭ জানুয়ারি শণিবার ৯ দিন ব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়ার অধ্যাপক প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। 

কবির জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মধুমেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আরবাউল হাসান মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোঃ আবু নাছির ও যশোর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস-এর উপস্থাপনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়ার অধ্যাপক প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মধু মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসেন, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, যশোর-৫ এর মোঃ ইয়াকুব আলী, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, যশোর-৬ এর আজিজুল ইসলাম, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও যশোর  জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক  এ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মণিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী দাউদ হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হোসেন, থানার অফিসার ইসচার্জ জহিরুল আলম প্রমুখ।

প্রথম পর্বে দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৪:৩৫ টা পর্যন্ত  ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন, পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)  উজ্জ্বল ব্যানার্জী ও কেশবপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বসু পল্টু। 

আলোচনা  সভা শেষে মধু মঞ্চে ৩য় পর্বের কবি রিয়াজ লিটন-এর সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিলো, সঙ্গীত, জারি গান, লোকসঙ্গীত ও বিশেষ আকর্ষণ মণিরামপুর আনন্দ অপেরা কতৃক আয়োজিত যাত্রাপালা 'মায়ের চোখে জল"। 

৯ দিন ব্যাপী মধুমেলা উপলক্ষে কবির জন্মভূমির স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদ, জমিদার বাড়ির আম্রকানন, বুড়োকাঠ বাদাম গাছতলা, বিদায় ঘাটসহ মধুপল্লী হাতছানি দিয়ে ডাকছে মধু ভক্তদের। মধু ভক্ত লাখো মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হবে সাগরদাঁড়ির চারপাশ। বর্ণিল সাজে সেজেছে সাগরদাঁড়ি। দর্শনার্থীরা বলছেন, মধু মেলার প্রথম দিনে এত ভিড় আর কখনো দেখা যায়নি। এছাড়া মেলার মাঠে ছিল সার্কাস, মৃত্যুকুপ, নাগোরদোলা, ইঞ্জিন ট্রেন, যাদু প্রদর্শনী, শীতবস্ত্র,  বিভিন্ন প্রকার মিষ্টান্ন, বিসিকের স্টলসহ প্রায় ২শত বিভিন্ন ধরনের স্টল। মেলার মাঠে ছিল কঠোর নিরাপত্তা বলয়।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)