পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর , দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরের বিল খুকশিয়া স্রুইস গেট এলাকা পরিদর্শন করেন এমপি আজিজুল ইসলাম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ যশোর-৬ কেশবপুর নবনির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য তরুণ প্রজন্মের আস্থা ও অহংকার মোঃ আজিজুল ইসলাম এমপি মহোদয় কৃষকের কথা চিন্তা করে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য শণিবার (১৩ জানুয়ারী) সকালে ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে বিল খুকশিয়া স্লুইসগেট এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি এ সম্পর্কে এলাকার বিভিন্ন কৃষকের সাথে কথা বলেন, বিষয়টি সরকারী পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা করে পানি নিষ্কাষনের কার্যকরী ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।
গত (৭ ডিসেম্বর-২৩) বিকেলে '২৭ বিল বাঁচাও" আন্দোলন কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, যশোর জেলার অন্তর্গত কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলার ভবদহ অঞ্চলে অবস্থিত ২৭টি বিলের চারপাশে ৬টি ইউনিয়নের ৬৮টি গ্রাম রয়েছে। বিলে ধানী জমির পরিমাণ ৮৮ হাজার হেক্টর। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ এ বিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ক্রমান্বয়ে স্থায়ী রূপ লাভ করেছে। নদী ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় গত বছর ২৭ বিলে প্রায় ৫০ ভাগ এলাকায় বোরো আবাদ হয়নি। এবারও বোরো আবাদ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফলজ, বনজ ও সবজি ক্ষেত। ফলে, মানুষের জীবনজীবিকা, কর্মসংস্থান, অর্থনীতি, শিক্ষা, গোখাদ্য ও সামাজিক কর্মকান্ডের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
১৪ দফা দাবির ভেতর ছিল, কেশবপুরের বিলখুকশিয়ার ডায়েরখালি খালের আট ব্যান্ড সুইস গেট সংলগ্ন শ্রীহরি নদী জরুরি ভিত্তিতে খনন, পানি নিষ্কাশনে সকল খালের বাধাসমূহ অপসারণ, শ্রীহরি নদীর অববাহিকায় যে কোনো একটা বিলে জোয়ারাধার (টিআরএম) প্রকল্প চালু, সকল নদী দখল মুক্ত, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপুরণ, জলাবদ্ধ অঞ্চলে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের চিকিৎসা বিনাখরচে করা, পদ্মা/ভৈরব/মাথাভাঙ্গা নদীর সাথে এ অঞ্চলের নদীগুলোর সংযোগ স্থাপন করা, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জন সম্পৃক্ততা করণ নিশ্চিত করা, সমস্যা সমাধানে লোকজনের সমন্বয় ঘটানো, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া প্রভৃতি।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, ২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবু বক্কার সিদ্দিকী, আহবায়ক বাবুর আলী গোলদার, যুগ্ম আহবায়ক সনজিত বিশ্বাস, সদস্য বৈদ্যনাথ সরকার, শওকত হোসেনসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ।