পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর , দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বরেণ্য উত্তরাধিকার প্রণব চৌধুরী (কাজলদা) আর নেই। পাঁজিয়ার স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রণব কান্তি চৌধুরী সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে হৃদরোগসহ নানা রকম শারীরিক অসুস্থতার কারণে পাঁজিয়া গ্রামের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি এক স্ত্রী, এক মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। দুপুরে পাঁজিয়া ধলায়তলা মহাশ্মশানে শেষ কৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি পাঁজিয়া ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং পরবর্তিতে পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন সদস্য, কেশবপুর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের প্রানপুরুষ বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নান্দনিক উপস্থাপক, ভরাট কণ্ঠের সৌখিন আবৃত্তি শিল্পী, একজন অসাম্প্রদায়িক ও আলোকিত মানুষ সরকারি চাকরিতে থেকেও তিনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে নিরলস কর্মী ছিলেন। সর্বশ্রদ্ধেয় প্রণব কান্তি চৌধুরী (কাজলদা) ছিলেন পাঁজিয়া তথা কেশবপুরের সাংস্কৃতির জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। যাত্রা মঞ্চে তাঁর ভরাট গলা আর দীর্ঘদেহে পদচারণা সকলকে মুগ্ধ করতো।
কেশবপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, পাঁজিয়া ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদ, কেশবপুর নাগরিক সমাজের শ্রদ্ধাঞ্জলিসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ প্রয়াত পাঁজিয়া ইউনিয়নের কৃতি সন্তান বরেন্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রনব চৌধুরী (কাজল) এঁর মৃত্যুতে ফুলেল শ্রদ্ধায় শ্রদ্ধাজ্ঞলী প্রদান করেন।
মধু গবেষক কবি খন্দকার খসরু পারভেজ বলেন, পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে মধুসূদন জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। সেটা রাষ্ট্রপতি হোক, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই হোক। কবি আসাদ চৌধুরী কাজল দার উপস্থাপনা ও আবৃত্তি শুনে বারবার মুগ্ধ হয়ে বলতেন,..তুমি ঢাকায় চলে এসো। প্রতিভাবান মানুষটি ঢাকা গেলে হয়ত অনেক কিছু করতে পারতেন। যাননি। মাটির মায়ায়, মধুর মায়ায় পড়ে থেকেছেন তাঁর শিকড়ের কাছে। কেশবপুরবাসী তাঁর মতো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হল।
তাঁর প্রয়ানে গভীর শোক, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেছেন, ট্রাষ্টি হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও বালিয়াডাঙ্গা সর্বজনীন দেবালয় ট্রাষ্ট, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শ্যামল সরকার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেশবপুর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অসীম ভট্টাচার্য বাপি, যশোর- ৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি শাহীন চাকলাদার, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী এইচ,এম আমীর হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য ঈগল প্রতিকের প্রার্থী মোঃ আজিজুল ইসলাম, মোঃ রেজাউল করিম, পরিচালক (ট্রাফিক) অঃ দাঃ বেনাপোল স্থলবন্দর, যশোর কোর্স পরিচালক, "বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংসদ (বাসাসেস)"-এর প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান মুহম্মদ শফি, পাঁজিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল ব্যানার্জি, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপস দে, উদীচী কেশবপুর শাখার পক্ষ থেকে সভাপতি অনুপম মোদক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মনোজ কান্তি হালদারসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ।