মো আবুবকর সিদ্দিক , স্টাফ রিপোর্টার,মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া, দৈনিক সারা দুনিয়া।
মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া উপজেলায় পাওনা টাকার দাবিতে থানায় অভিযোগ করায় বাড়িতে ঢুকে বাদীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২১ নভেম্বর সোমবার বিকেল আনুমানিক ৫ টার দিকে উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়ন ধূল্যা কাজদিঘী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মজিবর (৫৭) জানান পানাইজুরী এলাকার মৃত মফিজুদ্দিন ওরফে চাঁন মিয়া ছেলে আব্দুর রহমান (৫৪), আব্দুর রশিদ (৪৩), উভয় সম্পর্কে আমার শ্যালক হইতেছে। তারা নিকট আত্মীয় হওয়ায় পূর্ব হইতে সুসম্পর্ক। তাদের ব্যক্তিগত জরুরী প্রয়োজনে আমার নিকট ০১(এক) মাসের মধ্যে ফেরৎ দেওয়ার শর্তে ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা চায়। গত ১৭/০৯/২০২৩ ইং আমার বসতবাড়িতে কতক সাক্ষীগণের সম্মুখে আমি আমার শ্যালক আব্দুর রহমানের হাতে এককালীন নগদ ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা প্রদান করি।
পরে আমি পাওনা টাকা চাহিলে, তারা দুই ভাই টাকা নেওয়ার কথা, স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দেওয়ার কথা সহ সকল ঘটনা অস্বীকার করে। পরে আমি নিরুপায় হয়ে সাটুরিয়া থানায় আব্দুর রহমান ও আব্দুর রশিদ কে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। সাটুরিয়া থানার এস,আই মো মোস্তফা ২১/১১/২০২৩ ইং দুই পক্ষকে থানায় বসার ব্যবস্হা করেন । থানায় না বসে ২১ নভেম্বর আব্দুর রহমান আমার বসত বাড়িতে প্রবেশ করে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে মারতে আসে। সাথে সাথে আমি বিষয় টি থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করি। সে আমার বাড়ি থেকে আব্দুর রহমান কে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পূনরায় আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী ও ভাই রশিদ দলবল নিয়ে কাজদিঘী আমার বসত বাড়িতে পূনরায় হামলা করে। আমাকে ও আমার স্ত্রী বেধম পারপিট করে পালিয়ে যায় বর্তমানে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি । ২১ নভেম্বর রাতে সাটুরিয়া থানায় ৩ জন সহ অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
হামলার বিষয়ে আব্দুর রহমান জানান, আমার দুলা ভাই মজিবর পাওনা টাকার দাবিতে উকিল নোটিশ ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সে বিষয়ে জানতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম,সে আমাদের কাছে টাকা পাবে অন্য বিষয়ে। আমাদের কাছে টাকা হলে সব দিয়ে দিব।
সাটুরিয়া থানার এস,আই মোস্তফা জানান মজিবর রহমান কয়েকদিন আগে পাওনা টাকার দাবিতে থানায় লিখিত অভিযোগ করে। আমি দুই পক্ষ থানায় উপস্থিত হতে বলেছি।২১ নভেম্বর বিবাদী আব্দুর রহমান বাদীর বাড়ি কাজদিঘী গিয়েছিল তাকে আমি বাদীর বাড়ি থেকে চলে যেতে বলি । আমি ঘনটাস্হল থেকে চলে আসার পর বাদী মজিবরের বাড়িতে আব্দুর রহমান দলবল নিয়ে গেল। সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্হা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুকুমার বিশ্বাস জানান এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।