পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুর উপজেলায় কেশবপুর কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দির, পাঁজিয়া সার্বজনীন কালীপূজা মন্দির, বসুন্তিয়া বাঁশতলা সার্বজনীন কালী মন্দির, বসুন্তিয়া তারকেশ্বর সার্বজনীন পূজা মন্দির, পাথরা সার্বজনীন পূজা মন্দির, বিদ্যানন্দকাটি সার্বজনীন পূজা মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে ও পারিবারিকভাবে শ্রীশ্রী শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ছিল দীপাবলি ও মঙ্গল শিখা প্রজ্বলন এবং দিবাগত রাতে সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা। সোমবার সকালে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
সোমবার বিকাল বেলা থেকে খেলাধূলা, নাচ, গান, আরতি, প্রাইজ বিতরণ, সিঁদুর খেলা, প্রতিমা বিসর্জনসহ নানামুখী কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ উৎসব। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে ভক্তরা আনন্দ উপভোগ করে।
রবিবার (১২ নভেম্বর-২৩) সন্ধ্যায় চতুদর্শী তিথিতে ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়েছে। শ্যামা পূজার আগে উদযাপন করা হয় দিপাবলী। এটি সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদের ধর্মীয় উৎসব হলেও এর আলোকের পুণ্যশিখার ব্যাপ্তি শুধু মাত্র তাদের ঘরেই আটকে থাকে না। আলোকোৎসবের ছটায় প্রত্যেক মানব হৃদয় মেতে ওঠে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মধ্য দিয়ে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে কার্তিক মাসের অমাবশ্যা তিথিতে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামার। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে শ্যামা বা কালী পূজার মূল বার্তা ও মাহাত্ব। ১২ নভেম্বর বেলা দুইটা ৪৩ মিনিট থেকে রাত দুইটা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত অমাবস্যা তিথি ছিল।
এ লক্ষে কেশবপুরে বসুন্তিয়া বাঁশতলা সার্বজনীন কালী পূজা উদযাপন কমিটির আয়োজনে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তরুন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্ব সোমবার বিকাল বেলা থেকে খেলাধূলা, নাচ, গান, আরতি, প্রাইজ বিতরণ, সিঁদুর খেলা, প্রতিমা বিসর্জনসহ নানামুখী কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ উৎসব। এছাড়াও স্থানীয় শিশু শিক্ষার্থীরা গীতা থেকে পাঠ, কবিতা, ছড়া, কৌতুক পরিবেশন করে। প্রতিমা বিসর্জ্জনের পর বিশাল আয়োজনে খিচুড়ি ভাতের আয়োজন করা হয়।