বরিশাল প্রতিনিধি , দৈনিক সারা দুনিয়া।
উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ঢোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ ( চার) জন শিক্ষকের মধ্যে স্কুল চলা কালীন সময় ৩( তিন) জনই বাড়িতে।
সাংবাদিক আসার খবরে এক শিক্ষিকা তরিঘরি করে এসে ৩ ( তিন) দিনের হাজিরার স্বাক্ষর করার সময় ক্যামেরায় ধরা পড়ল। এবং বিষয়টি বুঝতে পেরে মিডিয়া কর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করল।
কবাই ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঢোলা গ্রামে অবস্থিত ঢোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলার শিয়ালঘুনি ক্লাসটারের আওতাধীন স্কুলটিতে উর্ধতন কর্মকর্তাদের ভিজিট তুলনা মূলক কম বিধায় শিক্ষকেরা নিজেদের খেয়ালখুশী মত বিদ্যালয়ে আসেন। এবং যার ফলে প্রতিনিয়ত শিক্ষার মানহীন মানচিত্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে স্কুলটি।
২/১০/২০২৩ ইং সোমবার বেলা ২.৩০ মিনিটের সময় সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে উপস্থিত হলে ৪ ( চারজন) শিক্ষকের মধ্যে ৩( তিন) জনই ছিল অনুপস্থিত। মিডিয়া কর্মীদের আসার খবরে তরিঘরি করে এক কথায় প্রস্তুতি বিহীন স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় বিগত ৩( তিন) দিনের স্বাক্ষরের কাজটি করে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ক্লাসটারের সহকারী শিক্ষা অফিসারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে উপজেলা প্রাথমিকশিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এবং তার হোয়াটসঅ্যাপে স্কুলটির বর্তমান ফুটেজ দেওয়া হয়।
স্কুলটির ছাএ ছাএী দের উপস্থিতির চিত্র একেবারে নাজুক অবস্থা। শিক্ষার্থী হাজিরা খাতার সাথে শিক্ষকের মুখের বলা সংখ্যার মিল নাই। পঞ্চম শ্রেনীতে ৩ জন এবং চতুর্থ শ্রেনীতে ৫ জন শিক্ষার্থী পাওয়া যায় এবং তৃতীয় শ্রেনীর কক্ষ ছিল শিক্ষার্থী বিহীন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রমজান আলী হাওলাদার বাড়ি থেকে এসে জানালেন কাছাকাছি দুটি স্কুল হওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্হা ভালো না থাকায় শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কম।