মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া থেকে, আবুবকর সিদ্দিক , দৈনিক সারা দুনিয়া।
মানিকগঞ্জ সাটুরিয়ায় সবুজ পাতার নিচে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে মিষ্টি সোনালি ও সাদা রঙের আখ। কৃষকেরা অল্পপুঁজি ও বাণিজ্যিকভাবে আখ চাষ করে। এ বছরে বৃষ্টি কম হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে।
আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় একদিকে যেমন কৃষক খুশি। তেমনি দাম পেয়ে মিষ্টি আখের মিষ্টি হাসি ফুটে উঠেছে আখ চাষিদের মুখে। এতে করে এবার সাফল্যের মুখ দেখছে মানিকগঞ্জ জেলায় সাটুরিয়া উপজেলার আখ চাষিরা। আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
উপজেলার, রাধানগর, বরাইদ,হরগজ,তিল্লী, সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন আখ কাটতে। সারি সারি ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে এ আখ নিয়ে যাওয়ার জন্য। এখান থেকে আখ স্থানীয় বাজারসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এসে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কথা হয় রাধানগর গ্রামের আখ চাষি রহমত আলীর ছেলে নয়া মিয়া। তমছের আলী ছেলে মো সুতান,টেপু চন্দ্র দাসের ছেলে মন্টু দাস,জয়নাল আলী ছেলে শরবত জানান ৫ থেকে ৬ বছরের ও বেশি আখ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছি। প্রতি বছর এলাকায় থেকে আখ কিনে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে পাইকারি হিসাবে বিক্রি করে থাকি। প্রতি দিন কয়েক হাজার পিচ আখ কিনে থাকি। এখানকার আখ খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু এখানকার আখ বিক্রি করতে তাদের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।
আখ একটি দীর্ঘমেয়াদি ফসল, যা জমিতে প্রায় ৮-৯ মাস থাকে। বাংলা সনের আশ্বিন ও কার্তিক মাসে আখ জমিতে রোপণ করা হয়। আখ বাজারজাতকরণের উপযোগী হতে সময় লাগে প্রায় ৯ - ১০ মাস। বেলে ও দোআঁশ মাটি আখ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে আখের ফলন পাওয়া যায়। আখ উঁচু ও নিচু জমিতেও চাষ করা যায়। আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে আশানুরূপ ফলন ও বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় দিন দিন আখ চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
সাটুরিয়া কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল মামুন জানান সাটুরিয়ায় মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী। এবার উপজেলায় ২৭ হেক্টর জমিতে ঈশ্বরদী, বম্মে, ৪১, ৩৭, ১৬ ও ৮ বিভিন্ন জাতের আখ চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে চাষিরা যেন তাদের ফসল বাঁচাতে পারে সে জন্য যথাসময়ে কৃষি অফিসের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে।