পরেশ দেবনাথ, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি , দৈনিক সারা দুনিয়া।
চুকনগর গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। চুকনগর গণহত্যা ৭১ স্মৃতিরক্ষা পরিষদ ও চুকনগর ডিগ্রী কলেজের যৌথ উদ্যোগে গণহত্যাকে আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে রবিবার (০৮ অক্টোবর) চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনটি চুকনগর বাজার হয়ে কলেজ গেটে এসে শেষ হয়। নেতৃবৃন্দসহ গণমানুষের দাবী "চুকনগর গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই।"
চুকনগর গণহত্যা একাত্তর স্মৃতি রক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও চুকনগর ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে এবং ইফতেখার আলম রাজীবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্মৃতি রক্ষা পরিষদের সভাপতি ও চুকনগর ডিগ্রী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এ,বি,এম শফিকুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন, সহকারী অধ্যাপক তাপস বিশ্বাস, এস,এম জুলফিকার আলী, আব্দুল হাফিজ মাহমুদ, কল্যাণ কান্তি হালদার, আনিছুর রহমান, নিকুঞ্জ বিহারী মণ্ডল, ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম বাবু, ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবু, ছাত্রনেতা মাহাবুবুর আলম সোহান, মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ, রিয়াদ হোসেন, মাসুম হোসেন, শেখ মামুন, কাজলসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর বর্বর পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর চুকনগর বাজারের অলিতে গলিতে ছিল শুধু লাশ আর লাশ। বাজারটি শকুন ও কুকুরের দখলে চলে যায়। অনেক মৃতপ্রায় ব্যক্তিকে নিয়ে টানাটানি করেছে শকুন আর কুকুর। এই করুণ দৃশ্য কখনও ভুলবার নয়। শত শত বছর ধরে এই হত্যাকান্ডর তথ্য মানুষ স্মৃতিতে রাখবে। সেদিন চুকনগরে ১০ হাজারের মত মানুষকে তারা নির্বিচার হত্যা করেছিল বলে প্রত্যক্ষ দর্শীদের বিবরনে জানা গেছে। সেদিনের এ নৃশংস ঘৃন্যতম দৃশ্য পৃথিবীর ইতিহাসে সব গণহত্যার চেয়ে বর্বর বলে অনক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি নিষ্ঠুর ও জঘন্যতম দিন। এদিনটি শুধু চুকনগরের জন্য নয় বাংলাদশের জন্য একটি ভয়াল ও শােকাবহ দিন। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি নিষ্ঠুর ও জঘন্যতম দিন। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য চুকনগর গণহত্যার ঘটনাটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্থান পায়নি। এজন্য এদিনটিকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।