ষ্টাপ রিপোর্টার , দৈনিক সারা দুনিয়া।
মানিকগঞ্জ সাটুরিয়ায় টাকা বুঝিয়ে না দিয়ে দলিল সম্পাদনের চেষ্টা। দাতাকে মারধরের অভিযোগ সাটুরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে। সভাপতির ছেলেসহ ৫ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগী বাবুল মিয়া।
ভুক্তভোগী বাবুল মিয়া মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গোলড়া চরখন্ড গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিবাদী আলমগীরের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল। স্থানীদের মধ্যস্থতায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর জমি রেজিস্ট্রি হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সাটুরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতির ছেলে মামুন মিয়াকে দলিল সম্পাদনের দায়িত্ব দেয় বিবাদী আলমগীর। দলিল লেখক সমিতির সভাপতির ছেলে দাতা বাবুল মিয়াকে টাকা বুঝিয়ে না দিয়ে দলিলে স্বাক্ষর দিতে চাপ সৃষ্টি করে। দাতা টাকা না পেয়ে দলিল স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করলে বিবাদীরা দাতা বাবুল সহ তার স্ত্রীকে মারধর করে। পরে দাতা বাবুলের অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে গত ১ অক্টোবর দাতা বাবুল বাদী ৫ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা রুজু করেছে।
ভুক্তভোগী বাবুল মিয়া জানান,সাটুরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবজালের ছেলে আমাকে টাকা না দিয়েই দলিলে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি অস্বীকার করলে সভাপতির ছেলে মামুন প্রথমের আমার ভাইকে থাপ্পড় মারে। এরপর বিবাদীরা সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে আমিসহ আমার স্ত্রী ভাই চাচাকে মারধর করে। আমাকে বেশি মারধর করে আলমগীর এবং সভাপতির ছেলে মামুন। আমাদের ৪ জনকে মারধর করা হয়েছে। আমি ৩ দিন সাটুরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।
সাটুরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতির ছেলে ও সহকারী দলিল লেখক মামুন মিয়া বলেন, আমি বাবুলকে মারধর করি নাই।আমি ওনার কাছে তার ছবি চেয়েছিলাম।তাকে বলেছিলাম ছবি লাগানো হলেই তো দলিল শেষ হলো না। এর বেশি কোন কথা তাকে আমি বলি নাই।
দলিল লেখক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি খুব খারাপ হয়েছে। দলিল লেখক হিসেবে দাতাকে মারধর মুঠেও ঠিক হয়নি।
সাটুরিয়া দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন বলেন, দলিল লেখকের ধর্ম হলো দাতা গ্রহীতা দুপক্ষকেই নিরাপত্তা দেয়া। দেনা পাওনা বুঝিয়ে দলিল সম্পাদন করা। দাতা গ্রহীতার পক্ষ নিয়ে কাউকে মারধর দলিল লেখকের দায়িত্ব না। ওই দিনের ঘটনা খুবই দুঃখ জনক।
এবিষয়ে সাটুরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবজাল হোসেন বলেন, দলিল লেখকের কাছে দাতা সবসময় নিরাপদ। দলিল লেখকের দায়িত্ব দাতাকে পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে দলিল সম্পাদন করা। আমার ছেলে মামুন দাতাকে মারধর করেনি। দাতা গ্রহীতা দুপক্ষ মারামারি করেছে।
এব্যাপারে সাটুরিয়া সাবরেজিস্টার অভিজিৎ কর বলেন,এবিষয়ে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি।লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।