ষ্টাপ রিপোর্টার , দৈনিক সারা দুনিয়া।
মানিকগঞ্জ সাটুরিয়ায় প্রেমের টানে দুইবার উধাও হয়, এস,এস,সি, পরিক্ষার্থী এক স্কুলছাত্রী। গত ১১ অক্টোবর সাটুরিয়ায় এস,এস,সি টেস্ট পরীক্ষার দিতে আসে শাররিক অসুস্থ শিক্ষার্থী লামইয়া তুজ জান্নাত । কিশোরী প্রেমের টানে পূনরায় প্রেমিকের সহযোগিতায় পরিক্ষা শেষ করে ফের পালিয়ে যায় উপজেলার ফুকুরহাটী এলাকায় প্রেমিক নাছিমের বাড়ি। প্রেমিক নাছিম ফুকুরহাটী ইউনিয়নের প্রবাসী মানিক মিয়ার ছেলে।
ওই ছাত্রী উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের পোশাক শ্রমিকের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের এস,এস,সি পরিক্ষার্থী ।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় গত (১৮/০৯ /২০২৩ ইং তারিখে ওই ছাত্রীর হাতে প্রেমিকের দেওয়া মোবাইল ফোন হাতে দেখতে পায় মেয়ের মা, তা দেখে মেয়ের মা ছাএীকে বেধম মারধর করে। পরে মেয়ে ঘটনার বিষয়টি তা প্রেমিক নাছিম কে জানায়,মেয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে।
এ দিকে কৌশলে বখাটে নাছিম ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীকে রাস্তায় থেকে তুলে নিয়ে যায় । একদিন পর মেয়ের পরিবার কে না জানিয়ে ছেলের পরিবার সহ তার চাচা ও চাচি বিবাহ সম্পন্ন করেন। এবং গত ১৯/০৯/২০২৩ ইং মানিকগঞ্জে নাছিমের পরিবার পক্ষ থেকে তার চাচি ও চাচা স্হানীয় মাতাব্বর (১,৫০,০০০ ) এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহরে ধার্য করিয়া বিবাহ সম্পন করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী হওয়ায়, বয়স কম, আইনী ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ছেলে ও মেয়ের পরিবার ফুকুরহাটী ও সাটুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের স্বনামধন্য দুই নেতার কাছে মিমাংসার দায়িত্ব দেন। তারা দু পক্ষের সাথে কথা বলে,উভয় পক্ষের লিখিত শর্ত সাপেক্ষে ছেলের পক্ষের কাছ থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে মেয়ে কে তার মা ও বাবার হাতে তুলে দেয় পরে মেয়ে তারা বাড়ি নিয়ে আসে।
সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আনোয়ার হোসেন পিন্টু জানান, শিক্ষার্থী আমার ইউনিয়নের বাসিন্দার বাল্য বিবাহ সম্পর্কে এলাকাবাসীদের সব সময় সর্তক করা হয়। অনেকে আমাদের না জানিয়ে আড়ালে বাল্য বিবাহ সম্পন করে তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার গ্রহনের দাবি জানান। এবং সকল অভিভাবকদের তাদের ছেলে মেয়ে কি করে কোথায় যায় তা খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন। কেহ এলাকায় বাল্য বিবাহ সম্পন করার চেষ্টা করে তাহলে সাথে সাথে প্রশাসন কে অবহত করার পরামর্শ দেন।
এদিকে, প্রেমের টানে মেয়ে উধাও হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে মেয়ের পরিবার বলেন, প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েকে অনেক বুঝিয়েছি। কয়েক দিন আগে মেয়ে কে বেধম মারধর করেছি । এবং ছেলেকে নিবৃত করতে তার বাবাকেও বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। প্রথমবার বাড়ি ছাড়া হয়ে মেয়ে নিখোঁজ ছিল। স্হানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে উদ্ধারের কয়েক দিন পর আবারও সাটুরিয়া কেন্দ্রে এস,এস,সি,টেষ্ট পরিক্ষা শেষে। উধাও হয়ে যায়। খোজ খবর নিয়ে দেখি মেয়ে ফুকুরহাটী সেই ছেলের বাড়ি গিয়ে উঠেছে । আমার মেয়ের বয়স খুব কম ঘটনার পর থেকে মেয়ে শারীরিকভাবে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা মেয়ে কে ফিরিয়ে আনতে ফুকুরহাটী এলাকায় ছেলের বাড়িতে গেলে স্হানীয় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ও ছেলের পরিবারের লোকজন আমাদের কে মেয়ে ফিরিয়ে দিতে প্রথমে অস্বীকার করেন এবং বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন । পরে নিরুপায় হয়ে অপপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে ছেলের বাড়ি রেখে মনের দু:খে চলে আসি। মিমাংসার লেনদেনের বিষয়ে তিনি জানান দুটি শালিশে আমরা কোন মাতাব্বরকে টাকা-পয়সা দেইনি।
এ বিষয়ে স্হানীয় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম জানান দুই জনের বয়স কম, এর আগে তারা একই ঘটনা ঘটিয়েছে । ছেলে ভালবাসার টানে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী পরিক্ষা হল থেকে ছুটে এসেছে। মেয়েটি কোন মতে বাবার বাড়ি যেতে রাজি হচ্ছে না। ঘটনার মিমাংসায় নেতাদের দেনদরবার সম্পর্কে মুটোফোনে যাহার নম্বর : 01757-309... (নাম্বার সংরক্ষিত)
জানতে চাইলে তিনি জানায়, কিসের টাকা, দুই পক্ষ আমাদের কোন টাকা পয়সা দেয়নি। আমরা কোন টাকা পয়সা দাবি করিনি। বয়স কম হলে ও তারা এক ও অপরকে ভালবাসে। তাই তাদের দুই জনের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও নাছিম কে মিলিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয় ফুকুরহাটী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রহমান জানান, বাল্য বিবাহ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ তাই আমি তাদের ডাকে সাড়া দেইনি। শুনেছি স্হানীয় নেতারা আপোষ মিমাংসা করেছে। আমি বেড়াতে এসেছি আমি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী (কর্মকর্তা) শান্তা রহমান এর সহিত মুটো ফোনে যোগাযোগ করলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর থেকে স্হানীয় এলাকাবাসী মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। বিদ্যালয়ের স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বাল্য বিবাহ সংগঠিত সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্হানীয় প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছে।