স্থানীয় সংবাদ, দৈনিক সারা দুনিয়া।
ঢাকার ধামরাইয়ে নান্নার ইউনিয়নের গোপালকৃষ্ণপুর গ্রামের গাজীখালি নদী থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে প্রযুক্তির সাহায্যে পরিচয় সনাক্ত করা হয়।
জানা যায় নিহত মিজানুর রহমান (৪০) একই ইউনিয়নের কালিদাসপট্টি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবা ওই ইউপির সাবেক সদস্য মৃত রহিজ উদ্দিন।
এ ঘটনায় নিহতের বড় দুই ভাই ও এক ভাতিজাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে র্যাব-৪। পুলিশও এক ব্যক্তিকে আটক করেছে ।
ভ্যানচালক মিজান সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এলাকাবাসীর ধারণা, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই তিনি হত্যার শিকার হতে পারেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে মিজানের মুখে রক্ত লেগে ছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মৃত রহিজ উদ্দিনের পাঁচ ছেলের মধ্যে সবার ছোট মিজান। বাড়ির সাত শতাংশ জমি নিয়ে অন্যদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল। তিনি আলাদা বাড়িতে থাকতেন। বিয়েও করেননি। মিজানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তিন দিনেও পুলিশকে জানাননি তাঁর পরিবারের কেউ।
ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল ফকির জানান লাশ উদ্ধারের সময়ও নিহতের ভাই ভাতিজা কেউ আসেননি। তিনি বলেন, র্যাব-৪ বায়োমেট্রিক মেশিনের মাধ্যমে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে। তারাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই ভাই মোজাহার আলী, আজাহার আলী ও আজাহারের ছেলে রফিকুল ইসলামকে আটক করে।
পুলিশ অন্য একজনকে আটক করেছে। তবে এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি। মিজান হত্যার শিকার হয়েছেন, নাকি অন্য কারণে মারা গেছেন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেই পরিষ্কার হবে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তেমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
এদিকে মিজানের লাশ উদ্ধারের দৃশ্য দেখে স্ট্রোকে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নান্নার ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন গোপালকৃষ্ণপুরের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সুলতান হোসেনের স্ত্রী হাসনা বেগম (২৮)।
লাশ উদ্ধারের দৃশ্য দেখে সকাল ৯টার দিকে স্ট্রোক করেন তিনি। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।