জমজম কূপের পানির বৈজ্ঞানিক উপকারীতা ও আল্লাহর দেয়া বিশেষ নেয়ামত।

স্টাফ রিপোর্টার
0

 

ধর্ম ও জীবন, দৈনিক সারা দুনিয়া।

জমজম কূপ, আল্লাহর এক বিশেষ নিদর্শন। এই কূপের পানি অত্যন্ত বরকতময়। রোগ নিরাময়, ক্ষুধা নিবারণসহ জমজম কূপের পানির আরও অনেক উপকারিতা আছে।

জমজম কূপ নিয়ে বিশ্বের খ্যাতনামা গবেষকরা তাদের অবাক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। গবেষণায় দেখিয়েছেন এর উপকারী নানা দিক।

হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায়, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের সঙ্গে থাকা পাত্রে এবং মশকে জমজমের পানি বহন করতেন। তিনি এই পানি অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন। (তিরমিজি, তারিখুল কবির, বায়হাকি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,  ‘এটি মুবারক পানি, ক্ষুধা নিবারক খাদ্য এবং রোগের শেফা।’

 


জমজম কূপের পানিতে মিলবে কিছু উপকারিতা, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। যেমন- 

 

*সাধারণ পানির তুলনায় জমজমের পানিতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ সামান্য বেশি। 

*জাপানের বিখ্যাত গবেষক মাসারু এমোতো জমজমের পানি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার মতে, জমজমের পানির মাত্র এক ফোঁটা এক হাজার ফোঁটা সাধারণ পানিতে মেশানো হলে ওই পানিও জমজমের পানির বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। তিনি আরও বলেন, জমজমের পানির মতো বিশুদ্ধ পানি পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।

*পানি বিশেষজ্ঞ ড. ইয়াহইয়া খোশগে জমজম কূপের পানির বিশুদ্ধতা কতটুকু তা নির্ণয় করার জন্য আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ব্যবহার করেছেন। এই পরীক্ষার পর তিনি বলেন, জমজমের পানিতে কোনো ধরনের দূষণকারী পদার্থ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

*শুধু জাপান নয়, জার্মানিতেও জমজম কূপের পানি নিয়ে অনেকেই বিস্তর গবেষণা করেছেন। তার মধ্যে একজন জার্মান বিজ্ঞানী নাট ফিফার। তার গবেষণা মতে, জমজমের পানি আশ্চর্যজনকভাবে দেহের সেল সিস্টেমের শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

*জমজমের পানি ফ্রেঞ্চ আল্পসের পানি থেকেও বিশুদ্ধ। যেখানে ফ্রেঞ্চ আল্পসের পানির প্রতি লিটারে বাইকার্বনেটের পরিমাণ ৩৫৭ মিলিগ্রাম সেখানে জমজমের পানির প্রতি লিটারে বাইকার্বনেটের পরিমাণ ৩৬৬ মিলিগ্রাম। 

*জমজমের পানিতে ফ্লুরাইডের উপস্থিতি থাকায় এর জীবাণুনাশক ক্ষমতাও আছে।

*জমজম কূপের পানির রাসায়নিক গঠন অ্যালকালাইন প্রকৃতির, যা শরীরের অতিরিক্ত এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গ্যাস্ট্রিক, আলসার ও হৃদযন্ত্রে গঠিত বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ করে।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন “জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।” (সুনানে ইবন মাজাহ, হাদিস ৩০৬২)। এ কারণে অনেক মনীষীর ইতিহাস থেকে জানা যায়, জমজমের পানি পানের আগে তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে অনেক প্রার্থনা করতেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দুনিয়ার সকল মানুষকে জমজম কূপের মতো অলৌকিক মহা পুরস্কার ও নিয়ামতের জন্য শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন।

জমজম কূপ, আল্লাহর এক বিশেষ নিদর্শন। এই কূপের পানি অত্যন্ত বরকতময়। রোগ নিরাময়, ক্ষুধা নিবারণসহ জমজম কূপের পানির আরও অনেক উপকারিতা আছে।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)