বিষ্ণুদেব বিশ্ব ,গাইবান্ধা প্রতিনিধি , দৈনিক সারা দুনিয়া।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নে জিনিয়া এম এ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে গত ১২ জুন ২০২৩ ইং তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে স্বপন কান্ত সরকার ও আশরাফুল জামান লেবু প্রতিদ্বন্দীতা করেন।উভয় প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পান। ফলে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা স্থগিত হয়। এতে কতিপয় স্থানীয় ছেলেদের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে আশরাফুল জামান লেবুকে সভাপতিল হিসেবে বিজয় ঘোষণা করতে প্রধান শিক্ষক বলেন। প্রধান শিক্ষক উক্ত প্রার্থীকে সভাপতি ঘোষণা না দিয়ে বিদ্যালয়ে ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় কিছু উশৃংখল যুবক প্রধান শিক্ষককে মারার হুমকি দেয়। ফলে প্রধান শিক্ষক হামলার ভয়ে বিদ্যালয়ের অনপস্থিত আছেন। তিনি মৌখিকভাবে সহকারি প্রধান শিক্ষককে স্কুল চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সহকারী
প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিত চালু রাখার জন্য অন্যান্য সহকারী শিক্ষকদেরকে শ্রেণি পাঠদান দিতে বলেন । কিন্তু প্রধান শিক্ষক লিখিত দায়িত্ব না দেওয়ার কারণে অন্যান্য শিক্ষকরা নিয়মিত ভাবে শ্রেণিপাঠদান দিচ্ছেন না। এতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা । শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্কুলে ৯ টায় আসলেও শ্রেণিকক্ষ ১০ টার আগে খুলে দেওয়া হয় না। কোনদিন একটা আবার কোনদিন দুইটা বিষয়ে শ্রেণি পাঠদান করা হয়। দশটায় শিক্ষকবৃন্দ বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও অনেক শিক্ষক ক্লাসরুমে আসে না। কোন কারণ ছাড়ায় বারোটা থেকে একটার মধ্যে প্রতিদিন স্কুল ছুটি দিয়ে শ্রেণি কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়।
সহকারী শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক না থাকায় এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে । তবে তিন থেকে চার ঘন্টা শ্রেণি পাঠদান করার পর ছুটি দেওয়া হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি অবগত আছেন। তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করেন। কিন্তু তদন্ত পরবর্তী সঠিক দিকনির্দেশনা মূলক কোন সিদ্ধান্ত দেননি। পক্ষান্তরে স্থানীয় লোকজনের হুমকি ও আক্রমণের ভয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারছি না। এ ব্যাপারে আইনি সহযোগিতার জন্য প্রক্রিয়া চালাচ্ছি।