পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মাগুখালী বাজার সংলগ্ন ৫০ টি পরিবার পানি বন্দি, স্থায়ী সমাধান চান তারা। মাগুরখালী-বংশীর বটতলা সড়কের মাগুরখালী বাজার রোডের এপার থেকে ওপার দিয়ে বয়ে যাচ্ছে পানির স্রোত। নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে রাস্তার দু'ধার। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ টি পরিবার।
শণিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন গেলে মাগুরখালী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল লিটন জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য পথ ছিল দুইটি কালবার্ট। কয়েক বছর আগে নির্মিত হয়েছিল কালবার্ড দুইটি। বাজারে দোকান-পাট, বাড়ী-ঘর গড়ে উঠার ফলে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ ভারী বর্ষনে পানি বন্দি হয়ে পড়ে পরিবারগুলো। সে থেকে রক্ষা পেতে একটি কালবার্ডের পানি নিষ্কাশন পথ স্বচল করতে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছেন এলাকাবাসী।
মাগুরখালী বাজারের পাশে মাগুরখালী-পাঁজিয়া পীচের রাস্তার কালবার্ডের পাশে রয়েছে গোপাল দাসের বাড়ির মালিকানা জমি। পানি সরাতে হলে তার জমির ওপর দিয়ে ড্রেন কেটে পানি সরানো ছাড়া উপায় নাই। মাগুরখালী বাজার কমিটির সভাপতি ও পানি নিষ্কাশন কাজের প্রধান মোস্তফা কামাল লিটন জানান, আমরা ড্রেন কেটে বড় পাইপ দিয়ে ড্রেন বুজিয়ে দিব এবং অতিরিক্ত মাটি লাগলে সেটাও দিব। গোপাল দাসের স্ত্রী ড্রেন কাটতে বাঁধা দেন এবং ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে কেশবপুর থানা থেকে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন বিট পুলিশিং এস,আই আবুল হোসেন দ্রুত পানি নিষ্কাশন এলাকায় ছুটে আসেন। তার সহযোগিতায় বাধা মুক্ত হলো নিষ্কাশন পথ।
এস,আই আবুল হোসেন জানান, সাময়িক ভাবে জলাবদ্ধতা কমবে কিন্তু এখানে একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করার জন্য এলাকাবাসীকে পরামর্শ দেন। প্রকাশ, গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে মাগুরখালী বাজারে এলাকা ইউপি সদস্য মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে একটি মিটিং হয়েছিল এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
পানি নিষ্কাশন কাজের প্রধান মোস্তফা কামাল লিটন সাড়ে ৫ টায় জানান, পানি দ্রুত সরতে শুরু করেছে।সেখানে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি পবিত্র মিত্র , সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, ওয়ার্ড মহিলা ইউপি সদস্য নাসরিন আক্তারসহ বাজার ও এলাকার লোকজন। এলাকার পানি নিষ্কাশনে স্থায়ী সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।