কেশবপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে বিপুল উৎসাহ- উদ্দীপনায় বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত।

স্টাফ রিপোর্টার
0

 


পরেশ দেবনাথ,  মঙ্গলকোট, কেশবপুর, দৈনিক সারা দুনিয়া।


কেশবপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বলা যেতে পারে যে, বিশ্বকর্মা হলেন, দেবতাদের শিল্পী। তিনি দেব শিল্পী নামেও পরিচিত।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কেশবপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে সার্বজনীন মন্দিরে, অস্থায়ী মন্দিরে, বিভিন্ন দোকানে, গাড়ীতে, স্বর্নকারদের দোকানে, মোটরসাইকেল গ্যারেজে, সেলুনের দোকানে নিজ তত্ত্বাবধানে এ বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পুরোহিত দ্বারা পূজা আর্চনার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিশ্বকর্মা পূজা সম্পন্ন হয়। এ সময় নিজেদের পরিবারের পাশাপাশি ভক্তরা জীব-জগতের কল্যাণ কামনায় প্রার্থনা করেন। পূজা শেষে উপস্থিতিদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করেন।

পুরোহিত নিলয় আচার্য জানান, ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশীর্বাদ কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকর্মাকে বেদে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তারূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাসমতে তিনি বিশ্বের সকল কর্মের সম্পাদক। তিনি শিল্পসমূহের প্রকাশক, অলংকার শিল্পের স্রষ্টা, তাই ভক্তরা তার কৃপা লাভের আশায় এ প্রার্থনা করেছেন। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে বিভিন্ন কলকারখানা, শিল্প, অফিস, দোকান, বাড়িতে যাদের গাড়ি বা মেশিন আছে এবং অন্যান্য নির্মাণ স্থানেও বিশ্বকর্মার পূজা সর্বাধিক প্রচলিত। এই দিনে সমস্ত রকম যন্ত্রপাতির বিশেষ পূজা করার রীতি রয়েছে। শিল্পী, কারিগর, তাঁতি এবং ব্যবসায়ীরা কন্যা সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মা পুজো করে থাকেন।

কেশবপুরে জুয়েলার্স মালিক সমিতি ও জুয়েলার্স কারিগর এর আয়োজনে স্বর্ণ পট্রিতে বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে দরিদ্রদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

রান্না করা খাবার বিতরণে উপস্থিত ছিলেন,জুয়েলার্স মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দসহ জুয়েলার্স এর কারিগর বৃন্দ।একইদিনে বেলা ১২ টার দিকে সেনকো জুয়েলার্সের পোঃ উজ্জল সেনের আয়োজনে বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে অসহায়দের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)