বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী দুইদিনের মধ্যে উত্তর আন্দামান সাগর এবং তার কাছাকাছি পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।এই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে প্রবল শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে অক্টোবরের শুরুতেই। ভারত ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে তেজ।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
এছাড়া মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আগামী দুইদিনের মধ্যে উত্তর আন্দামান সাগর এবং তার কাছাকাছি পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ, দক্ষিণ উড়িষ্যায় এই সাইক্লোনটি সমচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি প্রভাব ফেলতে পারে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে।
অ্যাকিউ ওয়েদারের আন্তর্জাতিক আবহাওয়াবিদ জেসন নিকোলাস জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী নিম্নচাপ তৈরি হবে। এটি ক্রমশ জোরাল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে।
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়টির আঘাত হানার আপাতত আশঙ্কা নেই। তবে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে ঢাকার আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ বলেন, এখনো লঘুচাপ সৃষ্টি হয়নি। লঘুচাপ সৃষ্টির পর বুঝা যাবে সেটা নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে কিনা। তারপর সাইক্লোনের প্রশ্ন আসবে।
তিনি আরো বলেন, দুয়েক দিনের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি খুব শক্তিশালী হবে না। তবু আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সময়ে সময়ে আমরা এ বিষয়ে আপডেট দেব।