এশিয়া কাপে রানের পাহাড়ে বাংলাদেশ , প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।

স্টাফ রিপোর্টার
0

 

খেলার খবর দৈনিক সারা দুনিয়া।

এশিয়া কাপে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর শতকে পাঁচ উইকেটে ৩৩৪ রান করে টাইগাররা। এতে আফগানিস্তানকে ৩৩৫ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। 

অধিনায়ক তামিম ইকবাল একবার বলেছিলেন, দলের হার নিশ্চিত ভেবে সবাই যখন হাল ছেড়ে দেয়, তখনও জয়ের জন্য আত্ববিশ্বাসী দেখা যায় মিরাজকে। সেই কথাই যেন আবারও প্রমাণ করলেন এই অলরাউন্ডার।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায়।ইনজুরির কারণে স্কোয়াডে নেই তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। যে কারণে ছিল ওপেনার সংকট। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামায় টিম ম্যানেজম্যান্ট। ওয়ানতে এর আগে একবারই ওপেনিং করেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে। সে ম্যাচে লিটনের সঙ্গে ১২০ রানের ওপেনিং জুটিতে মিরাজের অবদান ছিল ৫৯ বলে ৩২ রান।

আজ ওপেনিংয়ে মিরাজের সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। দুজন মিলে স্কোর বোর্ডে তোলেন ৬০ রান। দশম ওভারে ৩২ বলে ২৮ রান করা নাঈমকে ফিরে জুটি ভাঙেন আফগান বোলার মুজিব উল হক।

ব্যাটিং অর্ডারে এগিয়ে আনা হয় তাওহিদ হৃদয়কে। কিন্তু দুই বল ব্যবধানে ডানহাতি এই ব্যাটারকে শূন্য রানে ফেরান গুলবাদিন নাঈব। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিরাজের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। ৬৫ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক করেন মিরাজ। আর অর্ধশতক করতে শান্ত খরচ করেন ৫৭ বল।

ধীরে ধীরে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন দুজন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন মিরাজ। ১১৫ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এরপর শতক পূর্ণ করেন শান্তও। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও দুটি ছক্কা। একই ইনিংসে পঞ্চমবারের মতো শতক পেলেন বাংলাদেশের দুজন ব্যাটার। সর্বশেষ এই কীর্তি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস, ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

মিরাজ-নাজমুল মিলে গড়েন ১৯৪ রানের জুটি। এশিয়া কাপে যেকোনো উইকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও জুনাইদ সিদ্দিকের ১৬০ রানের জুটিটি ছিল সর্বোচ্চ।

মুজিবকে ছক্কা হাঁকানোর পর ১১৯ বলে ১১২ রানের রির্টায়ার হার্ট নেন মিরাজ। আর শান্ত ১০৪ রান করে আউট হয়ে ফিরে যান। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিম করেন ১৫ বলে ২৫ রান, সাকিব আল হাসান ১৮ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। আর অভিষিক্ত শামীম হাসান পাটোয়ারী ৬ বল খেলে করেন ১১ রান।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)