পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুরের সীমান্তবর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চুকনগরের প্রাণকেন্দ্রে শুভ উদ্ভোধন হলো আধুনিকায়ন ও দৃষ্টিনন্দন "আদর্শ প্যালেস হোটেল এন্ড কমিউনিটি সেন্টার"। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় বাসস্ট্যাণ্ড থেকে খুলনা রোডের বামদিকে লিপ্ট সঞ্চালিত ছয়তলা বিশিষ্ট সু-উচ্চ ভবনে পরিবার- পরিজনদের নিয়ে ঘরোয়া ও মনোরম পরিবেশে আদর্শ বস্ত্রালয়, আদর্শ মটরস্ ও আদর্শ প্যালেস হোটেল এন্ড কমিউনিটি সেন্টারের স্বত্বাধিকারী জয়দেব আঢ্য-এর গর্ভধারিনী মাতা শ্রীমতি শান্তি লতা আঢ্য, আদর্শ প্যালেস হোটেল এন্ড কমিউনিটি সেন্টারের শুভ উদ্বোধন করেন।
এর শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন, স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট শিল্পপতি জয়দেব আঢ্য। তিনটি জেলার মোহনা বাসস্ট্যান্ডটিতে চুকনগরের বুক চিরে সাতক্ষীরা পাইকগাছা শ্যামনগর থেকে উত্তরবঙ্গসহ রাজধানী ও সিলেট রংপুর কুড়িগ্রাম দিনাজপুর চিটাগাং বরিশাল কুয়াকাটা দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল করে থাকে। এই জনগুরুত্বপূর্ণ চুকনগরে নেই কোন রাত যাপনের ব্যবস্থা, নেই কোন আবাসিক হোটেল, নেই কোন কমিউনিটি সেন্টার।
প্রতিষ্ঠানের মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়দেব আঢ্য জানান, চুকনগর একটি ঐতিহ্যবাহী ব্যস্ততম শহর। অনেক ধরনের মেহমান চুকনগর বাজারে আসেন, তাদের তথা চুকনগর বাসীকে সেবা দেওয়ার জন্য মূলত উপহার দেওয়া। তারা এই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করবেন এবং আরও সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে এই আমার প্রত্যাশা। "আদর্শ প্যালেস হোটেল এন্ড কমিউনিটি সেন্টার"স্থাপন হওয়ায় এখানে থ্রি-স্টার, টু-স্টার, ফোর-স্টারের মত মান সম্মত খাবার সুলভমূল্যে পরিবেশন করা হবে। দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষের এখানে একটি আশ্রয়স্থল হলো। তাছাড়া বিবাহ, কোন উৎসব উপলক্ষ্যে একটা সুন্দর পরিবেশ প্রয়োজন হয় সেকারণে এখানে কম খরচে তারা করতে পারবেন।
চুকনগর গণহত্যা স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও চুকনগর ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ,বি,এম শফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালে চুকনগরে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করায় এখানে একটি বধ্যভূমি আছে যা বহু দর্শনার্থীরা দেখতে এসে অনেক সময় বাড়ী ফিরতে পারেন না, অনেক ব্যবসায়ীরা রাতে গন্তব্যস্থলে ফিরতে পারেন না ফলে তারা নির্বিঘ্নে এই আদর্শ প্যালেস হোটেল এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে রাত যাপন করে পরের দিন স্বস্তিতে বাসায় ফিরতে পারবেন। এক কথায় চুকনগরবাসী আর এক ধাপ এগিয়ে গেল।প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজমেন্টের দ্বায়িত্বে আছেন, রাজু আহম্মেদ, রিসিপশনের দ্বায়িত্বে আছেন মঈনুদ্দীন শেখ, বর্তমান স্ট্যাফ সংখ্যা ২০ জন।