সাটুরিয়া ও এর আশপাশের এলাকায় দানবীর হিসেবে পরিচিত সাটুরিয়া সৈয়দ কালু শাহ্ ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সাটুরিয়া দাখিল মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা সৈয়দ বাদশা আলম পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।(ইন্নালিল্লাহি ও ইন্নাইলাহি রাজিউন)
সোমবার রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে বার্ধক্য ও অসুস্থ জনিত কারণে হৃদ যন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে পরলোকগমন করেন। মৃত্যু কালে ওনার বয়স ছিল ১০৭ বছর।
প্রয়াত সাধক সৈয়দ কালু শাহ ফকিরের চতুথৃ বংশধর ছিলেন পীর জাদা সৈয়দ বাদশা আলম। তবে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি বাদশা হান্দার নামেই পরিচিত ছিলেন।
আমরা হাজী মোহাম্মদ মুহসীনকে দেখিনি কিন্তু এযুগের একজন দানবীর ও সাধক সৈয়দ বাদশা আলমকে দেখেছি।
এই দানবীর ও শিক্ষানুরাগীর মৃত্যুতে সাটুরিয়া উপজেলা ও পাশ্ববর্তী ঢাকা জেলার ধামরাই থানা সহ আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। এরকম একজন দাতা ও দানবীর অভিভাবকের শুন্যতা কখনো পূরণ হবে কিনা বলা বাহুল্য।
সৈয়দ বাদশা আলম বিভিন্ন এলাকায় বহু মসজিদ, মাদাসা, স্কুল ,কলেজসহ অসংখ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ।
ওনার মৃত্যুতে আশেপাশের কয়েকেটি উপজেলার মানুষের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
এমপি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, ধামরাই আসনের এমপি বেনজীর আহমেদ, সিঙ্গাইর আসনের এমপি মমতাজ বেগম, আফরোজা খান রিতা, সৈয়দ কালু শাহ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জাহিরুল ইসলাম খান টিটু, অধ্যক্ষ মো.আমিনুর রহমান খান মজলিসসহ অসংখ শুভানুধ্যায়ী নির্দলীয় ব্যাক্তিত্ব বাদশাহ আলমের মৃত্যুতে ওনার রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবদেনা জ্ঞাপন করেছেন।
সোমবার বাদ যোহর বিভিন্ন গুনীজন , ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মৃত্যু কালে সৈয়দ বাদশা আলম এক স্ত্রী ও দুই পুত্রসহ ও তিন কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।